Special Intensive Revision

জাল নথি এসআইআরে ব্যবহার হলেই কড়া ব‍্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন, ভুতুরে ভোটার আটকাতে আইন মনে করিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

অতীতে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে নানা অভিযোগ করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী মুসলিমরা জাল নথি ব‍্যবহার করে ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়েছে। ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে কাউকে বাবা-মা সাজিয়ে কেউ কেউ ভোটার কার্ড বানাচ্ছেন। ভোটার তালিকাকে স্বচ্ছ করতে তাদের সরানো দাবি জানিয়েছে তাঁরা।

প্রতীকী চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:১১

ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় সরকারি জাল নথি বা পরিচয়পত্র ব্যবহার করলে কড়া শাস্তি মুখে পড়তে হবে। ভুয়ো বা ভুতুড়ে ভোটার আটকাতে ভারতীয় ন‍্যায় সংহিতার মনে করিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার কমিশন লিখিত ভাবে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসআইআরে সরকারি নথি জাল করা যাবেনা। যদি তার কোনও প্রমাণ মেলে আইন অনুযায়ী তার সাজা হবে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানাও করা হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর ৩৩৭ ধারা অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, জন্ম, বিবাহ কিংবা মৃত্যুর শংসাপত্র, আদালতের নথি, সরকারি অফিসের নথি, কোনও সরকারি কর্মচারীর প্রদত্ত শংসাপত্র কিংবা পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি জাল করেন, তা হলে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা হতে পারে। এ ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হবে না।

অতীতে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে নানা অভিযোগ করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী মুসলিমরা জাল নথি ব‍্যবহার করে ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়েছে। ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে কাউকে বাবা-মা সাজিয়ে কেউ কেউ ভোটার কার্ড বানাচ্ছেন। ভোটার তালিকাকে স্বচ্ছ করতে তাদের সরানো আবশ্যক। এর জন্য কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এতে কারোর তথ‍্যে গড়মিল থাকলে তা ধরাটা সহজ হবে বলে দাবি করেছে কমিশন।

প্রসঙ্গত, আর মাত্র দু’দিন পরেই অনলাইনে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ হচ্ছে। তার পরে ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। সেই তালিকা নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ এবং দাবি আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কমিশনে জানানো যাবে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তালিকা সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা, অভিযোগের নিষ্পত্তি করা, প্রয়োজনে ভোটারকে শুনানিতে ডাকা সবটাই ইআরও-রা করবেন এই সময়ের মধ্যে।


Share