Firhad Dares BJP

ভোটার তালিকা সংশোধনে নাম বাদ পড়ার সম্ভাবনা, তবু আত্মবিশ্বাসী ফিরহাদ, চ্যালেঞ্জ বিজেপিকে

ভোটার তালিকা সংশোধনে কলকাতা বন্দরে হাজার হাজার নাম বাদ পড়ার আশঙ্কা। তবু আত্মবিশ্বাসী ফিরহাদ হাকিম, বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ। পাল্টা কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর।

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৪:০৮

ভোটার তালিকা সংশোধনের ফলে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৬৩ হাজার ৭৩০ জন ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে, কমিশন সূত্রে মিলেছে এমন ইঙ্গিত। তবুও আত্মবিশ্বাসে কোনও ঘাটতি নেই উত্তর কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। রবিবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের একটি কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি কার্যত বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।

ফিরহাদের স্পষ্ট বক্তব্য, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়লেও তাঁকে হারানো যাবে না। তাঁর দাবি, কলকাতা বন্দর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির এমন কোনও নেতা জন্মাননি, যিনি তাঁকে পরাজিত করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, এসআইআর পর্বের শুরুতেই কলকাতা বন্দর এলাকায় বিএলও-দের একাংশ অভিযোগ তুলেছিলেন, মৃত ভোটারদের নাম জোর করে তালিকাভুক্ত করার চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রাণনাশের হুমকির কথাও সামনে আসে। নিরাপত্তার দাবিতে সরব হন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতেই এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়ার পর কমিশন সূত্রে জানা যায়, কলকাতার দুই বিধানসভা চৌরঙ্গি ও জোড়াসাঁকোতে প্রতি তিন জন ভোটারের মধ্যে এক জনের নাম বাদ পড়তে পারে।

পাশাপাশি শহরের আরও ন’টি বিধানসভায় প্রতি পাঁচ জনে এক জন ভোটারের নাম ছাঁটাই হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই পরিস্থিতি শাসক দলের পক্ষে মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়।

তবে সব জল্পনার মধ্যেও নিজের অবস্থানে অনড় ফিরহাদ হাকিম। ফের তাঁর দাবি, কলকাতা বন্দর বিধানসভায় তাঁকে হারানোর ক্ষমতা বিজেপির কারও নেই। যদিও এই মন্তব্যের পাল্টা দিতে দেরি করেননি রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সমাজ থেকেই কেউ ফিরহাদকে হারাবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে এনুমারেশন পর্ব। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ১৫৯ ভবানীপুরে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লক্ষ ছ'হাজার ২৯৫। এর মধ্যে এক লক্ষ ৬১ হাজার ৫০৯ জনের ফর্ম ডিজিটাইজ হয়েছে, যা মোটের ৭৮.২৯ শতাংশ।

আগামী ১৬ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। তালিকায় কোনও ভুল বা আপত্তি থাকলে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে। অভিযোগের ভিত্তিতে হবে শুনানি এবং তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে প্রস্তুত করা হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। কমিশন সূত্রে খবর, সেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ২০২৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।


Share