Special Intensive Review on Voter List

রাজ‍্যের এসআইআরের জন‍্য ১৫ কোটি আবেদনপত্র ছাপবে কমিশন, পুজোর আগে প্রশিক্ষণ শেষ করতে আধিকারিকদের নির্দেশ

মঙ্গলবার সিইও মনোজকুমার আগরওয়াল বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ভিডিয়ো কনফারেন্সে চলে প্রশিক্ষণ শিবির। বিহারে কী ভাবে এসআইআরের প্রক্রিয়া হয়েছে, তা তুলে ধরে প্রশিক্ষণ হয়েছে। এ দিনের প্রশিক্ষণে প্রায় চার হাজার আধিকারিক যোগদান করেছিলেন।

১৫ কোটি আবেদনপত্র ছাপাবে মুখ‍্য নির্বাচনী আধিকারিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৫৫

বিহারের পর পশ্চিমবঙ্গে-সহ গোটা দেশে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর) যে হচ্ছে, তা স্পষ্ট হয় নির্বাচন কমিশনে বিশেষ কনফারেন্সের পরেই। এ বার তার জন‍্য প্রস্তুতি শুরু করে দিল সিইও অফিস। জানা গিয়েছে, এসআইআর সংক্রান্ত ১৫ আবেদনপত্র ছাপানো হবে। রাজ‍্যে যত সংখ্যক ভোটার রয়েছে, তার দ্বিগুণ আবেদনপত্র ছাপানো হবে। এক জায়গা থেকে এত বিপুল সংখ্যক আবেদনপত্র ছাপানো নয়। তাই কোন কোন জেলায় সেই পরিকাঠামো রয়েছে, তা রাজ‍্যের থেকে জানতে চেয়েছে সিইও দফতর। মঙ্গলবার এসআইআরের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সিইও মনোজ আগরওয়াল প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

মুখ‍্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সুত্রের খবর, কোনও জেলায় যদি সেই আবেদনপত্র ছাপানোর পরিকাঠামো না থাকে, কলকাতা থেকে তা ছাপিয়ে পাঠানো হবে। বর্তমানে রাজ্যে ভোটারের সংখ্যা সাত কোটি ৬৫ লক্ষ। সেই সংখ্যার দ্বিগুণ আবেদনপত্র ছাপানো হবে। আবেদনপত্র একটি ভোটারের কাছে থাকবে। তার প্রতিলিপিটা বিএলওরা নিয়ে আসবেন।

জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের থেকে প্রতিটি ভোটারের নাম, তথ‍্য লেখা একটি আবেদনপত্র সিইও দফতরে পাঠানো হবে। সেই আবেদনপত্র এসে গেলেই ছাপানোর কাজ শুরু হবে। সিইও-র দফতর জানিয়েছে, বিহারের ক্ষেত্রে একই যায়গা থেকে আবেদনপত্র ছাপানো হয়েছিল। এই রাজ্যে একই যায়গায় এতো বিপুল সংখ্যক আবেদনপত্র ছাপানো সম্ভব নয়। তাই জেলায় জেলায় ছাপানোর ব‍্যবস্থা করতে হবে। কারণ, এসআইআরের মতো কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।

আবেদনপত্র ছাপানো হলেই তা পঞ্চায়েত, পুরসভাগুলিতে পাঠানো হবে। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ২০২৫ এর সঙ্গে ২০০২ এর ভোটার পরিসংখ্যানের তালিকা মিলিয়ে দেখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরে রাজ্যের দু’কোটি পরিবারের নাম, তথ‍্য মিলিয়ে দেখতে হবে। কমিশন মনে করছে, এই কাজটা সম্পূর্ণ হলে, এসআইআরের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে।

যদিও আবেদনপত্রে বিহারের থেকে খুব একটা পরিবর্তন হচ্ছে না। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। বিহারের মতেই আবেদনপত্রের তথ্য ৯৫-৯৭ শতাংশ একই থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

মঙ্গলবার সিইও মনোজকুমার আগরওয়াল বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ভিডিয়ো কনফারেন্সে চলে প্রশিক্ষণ শিবির। বিহারে কী ভাবে এসআইআরের প্রক্রিয়া হয়েছে, তা তুলে ধরে প্রশিক্ষণ হয়েছে। এ দিনের প্রশিক্ষণে প্রায় চার হাজার আধিকারিক যোগদান করেছিলেন। কয়েক জন জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, ইআরও এবং এইআরওরা প্রশিক্ষণে ছিলেন। পুজোর আগেই বাকি ৭৫ হাজার বুথের বিএলওদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ইআরও এবং এইআরওরা তাঁদের প্রশিক্ষণ দেবেন। আগামী ২১-২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই প্রশিক্ষণের কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।