Teachers’ Sports Clash

পরীক্ষা–এসআইআরের চাপের মাঝেই স্পোর্টস! পর্ষদের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ

প্রাথমিক শিক্ষকদের উপর ভোটার তালিকা সংশোধন, পরীক্ষা ও বার্ষিক স্পোর্টস—তিন দিকের চাপ নিয়ে বেঁধে গেল উত্তেজনা। আলোচনাহীন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা পর্ষদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তর্কাতর্কি–বচসায় উত্তাল হল পরিবেশ।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়া
  • শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ০১:৩২

প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত হাজার হাজার শিক্ষকের কাঁধে ভোটার তালিকার ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’-এর দায়িত্ব তুলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একই সময়ে রাজ্যের ৪৯ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে থার্ড সামেটিভ পরীক্ষা। এর মধ্যেই ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকে জেলা ভিত্তিক বার্ষিক স্পোর্টসের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নবগঠিত কমিটির অভিযোগ, কোনও রকম আলোচনাই না করে পর্ষদ একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

স্পোর্টসের দিন পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে বুধবার পর্ষদ অফিসে যান সংগঠনের একদল সদস্য। অভিযোগ, বৈঠকের সময়ে পর্ষদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তর্কাতর্কি ও বচসা হয়। সংগঠনের ১৫–১৬ জন প্রতিনিধি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেন এবং নানা প্রশ্নের জবাব চান। পরে অন্য দরজা দিয়ে পর্ষদের কয়েক জন আধিকারিক ঘরে ঢুকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন দু’পক্ষের টানাটানির অভিযোগও ওঠে।

ঘটনা প্রসঙ্গে গৌতম পাল কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘আমরা পাঁচ–সাতজন জেলা সভাপতি এ দিন পর্ষদ অফিসে গিয়েছিলাম। প্রেসিডেন্টের ঘরে বৈঠকে জানাই, স্পোর্টসের আয়োজন করতে ৪০ দিন সময় লাগে। এ বার হাতে সময়ই নেই। তা হলে আয়োজন কী ভাবে সম্ভব! শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আগাম আলোচনা করে প্রতিযোগিতার আবেদনও জানাই। কিন্তু উনি এ কথা শুনতে চাইছিলেন না।’ স্বাতী জানান, এ বছর ফেব্রুয়ারিতে স্পোর্টস হয়েছে। ফের স্পোর্টসের প্রয়োজন কী!

যদিও বৈঠকে উপস্থিত অপর এক জেলা সভাপতি জানান, তাঁরা ১০–১২ জন গিয়েছিলাম। তাঁরা জানতে চান, ১৫ ডিসেম্বর স্পোর্টস শুরু হলে এখনও পর্যন্ত কো–অর্ডিনেটর নিয়োগ হয়নি কেন? এই প্রশ্নে বোর্ড প্রেসিডেন্ট রেগে যান। কিছু কথার লড়াই হলেও পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

শিক্ষক সংগঠনের বক্তব্য, অধিকাংশ শিক্ষকই বর্তমানে এসআইআর–এর কাজ ও পরীক্ষায় ব্যস্ত। প্রতি বছর স্পোর্টস তদারকির জন্য জেলা ভিত্তিক কো–অর্ডিনেটর নিয়োগ করা হয়, কিন্তু এ বার তা হয়নি। তৃণমূল শিক্ষক সমিতির সদস্যদের কো–অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োগের দাবি উঠলেও পর্ষদ সভাপতি তাতে আপত্তি জানান বলে সূত্রের দাবি। তবে শিক্ষক সমিতি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


Share