Kerala Election

৪৫ বছরের অপেক্ষা, কঠোর পরিশ্রম, সিপিআইএম শাসিত কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরম দখল করল বিজেপি, অভিনন্দন জানালেন শশী থারুর

তিরুবনন্তপুরমে বিজেপির সাফল্য প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ থারুর বলেন, “আমার নিজস্ব সংসদীয় এলাকায় বিজেপির ঐতিহাসিক পারফরম্যান্সকেও স্বীকার করছি এবং কর্পোরেশনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই। এটি রাজধানীর রাজনৈতিক দৃশ্যে এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত।”

জেতার পরে উচ্ছাস বিজেপি কর্মীদের।
নিজস্ব সংবাদদাতা, তিরুবনন্তপুরম
  • শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ০১:২২

৪৫ বছরের অপেক্ষা। কঠোর পরিশ্রম। আর তা দিয়েই বাজিমাত। সিপিআইএম শাসিত কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরম দখল করল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। সিপিআইএম কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে। এ ছাড়াও, ওই রাজ্যের আরও একটি পুরসভার এনডিএয়ের দখলে গিয়েছে।

গত ৯ এবং ১১ ডিসেম্বর কেরলের স্থানীয় পুরসভাগুলির নির্বাচন হয়। ১৩ ডিসেম্বর, শনিবার তার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনের মোট ১০১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫০টিতে এনডিএ জয় পেয়েছে। সিপিআইএম শাসিত এলডিএফ নেমে এসেছে ২৯টি আসনে। কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) পেয়েছে ১৯টি আসন। দু’টি আসনে নির্দল প্রার্থীরা জিতেছেন। সেখানকার একটি ওয়ার্ডে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয়েছে।

এ ছাড়াও, এর্নাকুলাম জেলার ত্রিপুনিথুরা পুরসভায় ৫৩টি আসনের মধ্যে ২১টি আসন জিতে নিয়েছে এনডিএ। সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ পেয়েছে ২০টি আসন। এবং ১২টি আসন জিতেছে ইউডিএফ।  কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট এসেছে তৃতীয় স্থানে। তবে এই প্রথমবার ত্রিপুনিথুরা পুরসভার নিয়ন্ত্রণ গেল বিজেপির হাতে।

অন‍্যদিকে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পালক্কাড পুররসভায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। এখানে বিজেপি ২৫টি আসন জিতে নিয়ে একক বৃহত্তম দল হয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেয়েছে ১৮টি আসন। ওই পুরসভায় শোচনীয় অবস্থা সিপিআইএমের। সেখানে এলডিএফ মাত্র ন’টি আসন পেয়ে খুশি থাকতে হয়েছে।

তিরুবনন্তপুরম লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। এই জয়ের প্রসঙ্গে বিজেপিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “কেরলের স্থানীয় স্বশাসন নির্বাচনে আজ এক অসাধারণ দিন। এই ফলাফলে জনগণের রায় স্পষ্ট। এতে রাজ্যের গণতান্ত্রিক চেতনা উজ্জ্বলভাবে ফুটে উঠেছে।” তাঁর বক্তব্য, ৪৫ বছর ধরে তিনি নিজে সিপিআইএমের শাসনের বিরুদ্ধে প্রচার করেছেন। কিন্তু ২০২৫ সালে জনগণ আরেকটি দলকে নির্বাচিত করেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজধানীতে বিজেপির এই জয় বড় রাজনৈতিক ভাবে পরিবর্তনের ঈঙ্গিত বলেও দাবি করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। 

তিরুবনন্তপুরমে বিজেপির সাফল্য প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ থারুর বলেন, “আমার নিজস্ব সংসদীয় এলাকায় বিজেপির ঐতিহাসিক পারফরম্যান্সকেও স্বীকার করছি এবং কর্পোরেশনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই। এটি রাজধানীর রাজনৈতিক দৃশ্যে এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত।”


Share