Four Arrest In Nagrakata Case

নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়ককে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার আরও দুই দুষ্কৃতী, গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চারজন

সোমবার জলপাইগুড়ির নাগরাটাকায় দুর্যোগকবলিত এলাকায় গিয়েছিলেন মালদহ উত্তরের বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেখানে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি।

আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়ক।
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি
  • শেষ আপডেট:০৯ অক্টোবর ২০২৫ ০১:২৬

জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়ককে মারধরের ঘটনায় গতকাল দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। বৃহস্পতিবার সকালে আরও দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম শাহানুর আলম, তোফায়েল হোসেন, আক্রামুল হক এবং গোবিন্দ শর্মা। আজ ধৃতদের আদালতে পেশ করা হবে। 

সোমবারের ঘটনায় মোট আট দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ঘটনার ৫১ ঘন্টা পরে বুধবার আক্রামুল হক এবং গোবিন্দ শর্মা নামে দুই দুষ্কৃতীকে ধরতে পুলিশ সক্ষম হল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সাহানুর আলম ওরফে মান্নান, তোফায়েল হোসেন ওরফে মিলন নামে দুই দুষ্কৃতীর খোঁজ পায় পুলিশ। ধৃতেরা সকলেই নাগরাকাটার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বুধবার এক জনকে নাগরাকাটা থেকে অপর জনকে জয়গাঁ থেকে মোট দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতেই ধৃতদের জলপাইগুড়ি সদরে নিয়ে আসা হয়। ঘটনার সময় ধৃতেরা সেখানে উপস্থিত ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাদের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের যোগ আছে কি না তা-ও স্পষ্ট করে জানায়নি পুলিশ। ঘটনার পরে আট জনের বিরুদ্ধে নাগরাকাটা থানায় একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার আরও দু’জন গ্রেফতার হল। গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চারজন। বাকি চার জনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হবে।

এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সমীর আহমেদ জানান, “দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”

প্রসঙ্গত, সোমবার জলপাইগুড়ির নাগরাটাকায় দুর্যোগকবলিত এলাকায় গিয়েছিলেন মালদহ উত্তরের বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেখানে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। পাথরের আঘাতে নাক-মুখ ফেটে যায় খগেনের। সাংসদের চোখের তলায় হাড় ভেঙেছে বলে জানা গিয়েছে। শঙ্করের হাতে আঘাত লাগে। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও সাংসদ খগেন মুর্মু এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

মঙ্গলবার দুপুরে জখম বিজেপি সাংসদকে শিলিগুড়ির হাসপাতালে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে সাংসদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন। সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাইরে বেরিয়ে মমতা বলেন, “সাংসদের ডায়াবিটিস আছে। কানের নীচে লেগেছে। তেমন কিছু সিরিয়াস নয়।”

এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা তুঙ্গে। প্রত্যাশিত ভাবেই শাসকদলের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাশাপাশি ঘটনার নিন্দা করে তারা জানিয়েছে যে, এই ধরনের বিক্ষোভকে তারা মোটেই সমর্থন করে না।


Share