Murder

ভাঙড়ে তৃণমূল নেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুলি করে খুনের অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ

বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ভাঙড়ের উত্তর কাশীপুর থানার অন্তর্গত শিরিষতলায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত তৃণমূল নেতা রজ্জাক খান চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি।

ভাঙড়ে তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, ভাঙড়
  • শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫ ১০:৫০

ভাঙড়ে ফিরল অশান্তি। তৃণমূল নেতাকে কোপানো হল ধারালো অস্ত্র দিয়ে। তার পর চালানো হল গুলি। মৃত তৃণমূল নেতার নাম রজ্জাক খান। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ।

বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ভাঙড়ের উত্তর কাশীপুর থানার অন্তর্গত শিরিষতলায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত তৃণমূল নেতা রজ্জাক খান চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি। তিনি চক মরিচা গ্রামের বাসিন্দা। এ দিন রজ্জাক দলীয় বৈঠক সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় একদল দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। স্থানীয় সুত্রের খবর, রজ্জাককে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে রজ্জাককে লক্ষ‍্য করে পর পর বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। দলীয় কর্মীরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

রজ্জাক খান চালতাবেড়িয়া এলাকায় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল সুত্রের খবর, রজ্জাক আগে আরাবুল ইসলামের অনুগামী ছিলেন। পরে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লাকে অবজার্ভার করা হলে তাঁর দিকে চলে যান। তখন থেকেই রজ্জাক সওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও আইএসএফ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে কিছু ক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। ক‍্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন। সওকত মোল্লা বলেন, ‘‘আইএসএফ আশ্রিত দুস্কৃতীরা রজ্জাককে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পরে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়েছে।’’

গুলি চলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। লালবাজার সুত্রের খবর, ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় থানা সূত্রে খবর, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।


Share