Murder

মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু! স্বরূপনগরে জামাইয়ের হাতে মার খেয়ে প্রাণ গেলো প্রৌঢ়ের

মেয়ের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। অভিযোগ, আলোচনা করতে গেলে জামাই দিপু হালদার বেধড়ক মারধর করেন তাঁকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নির্মল মিস্ত্রির

প্রতীকী চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা, স্বরূপনগর
  • শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৩:০৩

মেয়ের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রাণ গেল এক প্রৌঢ়ের। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের তরণীপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বাবা জানতে পেরেছিলেন জামাই মেয়ের উপরে অত্যাচার করেন। সেই সমস্যারই সমাধানের পথ খুঁজছিলেন। তিনি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে পৌঁছোতে চেয়েছিলেন। তবে কথা বলতে নারাজ ছিলেন জামাই। কথা বলতে গেলে উলটে শ্বশুরের উপরেই নেমে আসে হামলা। বেধড়ক মারধরের জেরে মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়ের। অভিযুক্ত পালিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

অভিযোগ, মেয়ের প্রতি নির্যাতনের কথা জেনে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তখনই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, ২০ নভেম্বর জামাই দিপু হালদার তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। মাথা-সহ তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন প্রৌঢ়। পরিবারের লোক ও গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। শাড়াপুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরে সেখান থেকে তাঁকে 

ভর্তি করানো হয় বনগাঁ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় নির্মল মিস্ত্রির।

এরপরে মেয়ের বাড়ির পক্ষ থেকে জামাইয়ের বিরুদ্ধে স্বরূপনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ততক্ষণে গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাড়োয়া থেকে বাদুড়িয়ার বাসিন্দা দিপুকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। তাতে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।


Share