Kasba Family Tragedy

কসবার বাড়ি থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার, খাটের তলায় বস্তাবন্দি অবস্থায় মিলল মহিলার দেহ!

কসবার বোসপুকুরে ঘর ভেঙে উদ্ধার সুমিত সেনের পচাগলা দেহ; খাটের তলায় বস্তায় মিলল স্ত্রী অর্চনা সেন, মেয়ে সম্প্রীতি ছিলেন ঘরেই। মানসিক সমস্যা সন্দেহে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শহরে রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের স্মৃতি।

কসবাকাণ্ড
নিজস্ব সংবাদদাতা, কসবা
  • শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ০১:১১

কসবায় বোসপুকুরে দিনের পর দিন ঘরে পচাগলা বাবার দেহ আগলে বসে ছিলেন মেয়ে সম্প্রীতি সেন (২৭)। সোমবার দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পুলিশ উদ্ধার করে তাঁর বাবা সুমিত সেনের দেহ। পাশাপাশি খাটের নিচে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মা অর্চনা সেনকে, যিনি তখন অচৈতন্য।

সুমিত সেন একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। প্রতিবেশীদের দাবি, পরিবারের তিনজনই দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং খুব কমই বাড়ির বাইরে বেরোতেন। গত কয়েকদিন ধরে তাঁদের কাউকেই দেখা না যাওয়ায় সন্দেহ জাগে। এক আত্মীয় ফোনে খোঁজ নিলে সম্প্রীতি জানালেও বাব-মা ভাল আছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলাতে বারবার এড়িয়ে যান।

সোমবার আত্মীয়টি প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাড়িতে গেলে দেখেন, ঘর ভিতর থেকে বন্ধ এবং ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলে না। কসবা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তীব্র দুর্গন্ধ পান। দেখা যায়, ঘরের মাঝখানে পড়ে রয়েছে সুমিত সেনের পচাগলা দেহ। পাশে বসে তাঁর মেয়ে। খাটের তলায় বস্তায় পাওয়া যায় অর্চনা সেনকে, যাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সুমিত সেনের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। অসুস্থতার জেরেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান, তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই তা নিশ্চিত হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সম্প্রীতির অস্বাভাবিক আচরণও তদন্তকারীদের চিন্তায় ফেলেছে। তিনি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না, তাঁর মানসিক অবস্থারও চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।

এই ঘটনাটি মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০১৫ সালের কলকাতার ভয়াবহ রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডকে যেখানে এক বাড়ি থেকে আগুনে পুড়ে যাওয়া এক বৃদ্ধের দেহ উদ্ধারের পরই পুলিশ ঘরের ভিতর থেকে আবিষ্কার করেছিল বহুদিনের পুরোনো এক তরুণীর কঙ্কাল। পরিবারেরই সদস্য পার্থ দে প্রতিদিন তার ‘খাবার’ দিতেন। দুই বছর পরে আত্মঘাতী হন পার্থ। কসবার ঘটনাও শহরজুড়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।


Share