Kolkata Crime

তোলার টাকা না দেওয়ায় ধারাল অস্ত্রের কোপ ব্যবসায়ীকে, গ্রেফতার তালতলার দুই যুবক

তোলার টাকা না মেলায় দুই ব্যবসায়ীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল ভবানীপুরে। ভবানীপুর থানা ইতিমধ্যেই দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে লালবাজার।

ভবানীপুর থানা।
এখন কলকাতা ডেস্ক, কলকাতা
- নিজস্ব চিত্র
  • শেষ আপডেট:১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:০০

ফের কলকাতায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য। এসএসকেএম হাসপাতালের উল্টো দিকে হরিশ মুখার্জি রোডের ওপর দুষ্কৃতী তাণ্ডব। তোলার টাকা না দেওয়ায় নিউমার্কেটের দুই ব্যবসায়ীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হল। জানা গিয়েছে, ওই দুই ব্যবসা সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই তাঁদের পথ আটকায় প্রায় ১৫ জন দুষ্কৃতী। যাঁদের কেউ গাড়িতে আবার কেউ মোটর সাইকেল নিয়ে এসেছিলেন। অভিযোগ, আচমকাই তাঁরা দুই ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।? 

খাস কলকাতায় এহেন ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। জানা গিয়েছে, রামানুজ সিংহ নামে ওই ব্যবসায়ী তাঁর ভাই মনুকুমার সিংহকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় ১৫ জন দুষ্কৃতী আচমকা তাঁদের পথ আটকায়। টাকা চাওয়া হয়। না দেওয়ার ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগ, তোলার টাকা না দেওয়ায় এহেন হামলা চালানো হয়েছে।? 

আক্রান্তদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যজনের পায়ে, হাতে, মাথায় গভীর ক্ষত থাকায়, কোথাও ১২টা আবার কোথাও ১৫টা সেলাই পড়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে খবর।? 

লালবাজার জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দু'জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও খবর। ধৃতদের নাম মহম্মদ জাভেদ এবং মহম্মদ তাবরেজ। ধৃত দুই যুবকের বাড়ি তালতলার রামশঙ্কর লেনে। আক্রান্তের অভিযোগ, "১৫ জন দুষ্কৃতী এই হামলা চালায়। সবাইকে চিনতে না পারলেও রেহান, আসিফদের চিনতে পেরেছি।" তাঁর কথায়, "তোলা চেয়ে টাকা চেয়েছিল তারা। প্রথমে তিন লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। পরে আরও দু'লক্ষ চাওয়া হয়েছিল। শুধু আমরা নই, আরও অনেক হকারদের থেকে টাকা চাওয়া হয়েছে।" আক্রান্তের অভিযোগ, সেই টাকা না দেওয়ায় এই হামলা হয়েছে।? 

পুলিশ ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত রয়েছে, তাঁদের চিহ্নিত করে খোঁজ চলছে। লালবাজার জানিয়েছে, ধৃত দুই যুবকে আজ আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক ২৫ ফেব্রুয়ারির পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।? 


Share