Alipur mystery death case

আলিপুরে ছাত্রীর রহস‍্য মৃত‍্যু, আলমারির ভিতর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নি ছিল সঞ্জনা। প্রাক্তন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়ের বড়দি ববিতা রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আলিপুর থানার বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা ভোলার। তাঁদের মেয়ে ছিল সঞ্জনা।

সঞ্জনার বাড়িতে পুলিশ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:২১

বাড়ির আলমারি থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের জেরে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আলিপুরের বিদ‍্যাসাগর কলোনি এলাকায় মৃতা ছাত্রীর নাম সঞ্জনা সিংহ। মেয়েটি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। 
বছর দশেকের সঞ্জনা সিংহের দেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টও হাতে পেয়েছে পুলিশ। তাতে আত্মহত্যার আভাস মিলেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আলমারিতে একটি হ্যাঙ্গারে আংশিক ভাবে (পার্শিয়ালি হ্যাঙ্গিং) ঝুলছিল তার দেহটি।
ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতার বাবা ভোলা সিংহ এবং সৎমা পূজা রায়কে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নি ছিল সঞ্জনা। প্রাক্তন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়ের বড়দি ববিতা রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আলিপুর থানার বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা ভোলার। তাঁদের মেয়ে ছিল সঞ্জনা। মেয়েটি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বছরখানেক আগে ববিতা মারা যান। তখন ভোলা তাঁর শ্যালিকা, সঞ্জয়ের ছোড়দি পূজাকে বিয়ে করেন। পূজা পেশায় কলকাতা পুলিশের কর্মী বলে জানা যাচ্ছে। ভোলা একটি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করেন। কাজের সূত্রে প্রায়শই বাইরে থাকেন তিনি।
বুধবার দুপুরে প্রতিবেশীদের আক্রমণের মুখে পড়েও পূজা দাবি করেছেন, তিনি সৎমেয়েকে খুন করেননি। সঞ্জনা আত্মহত্যা করেছে। তিনি জানান, গত সোমবার রাতে তিনি বাড়ি ফিরে মেয়েকে দেখতে পাননি। পরে আলমারি থেকে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ পান। একই কথা বলছেন কন্যাহারা ভোলা। তাঁদের দু’জনকে আলিপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত আত্মহত্যার তত্ত্বই উঠে আসছে। সেটা হলে কেন দশ বছরের মেয়ে নিজেকে শেষ করতে গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, আলমারির মধ্যে একটি হ্যাঙ্গার থেকে ঝুলছিল সঞ্জনা। তার গলায় ওড়নার ফাঁস ছিল। দেহটি আংশিক ভাবে ঝুলছিল।


Share