SSC update

এসএসসির নিয়োগ নিয়ে ফের উত্তাল রাজ্য, পথে নামলেন চাকরিপ্রার্থীরা, নতুন মামলা দায়ের হাই কোর্টে

এসএসসির নতুন পরীক্ষাব্যবস্থা ও ভেরিফিকেশন তালিকা নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। অতিরিক্ত নম্বরের বিরোধে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ও নতুন মামলা, প্রাথমিকে শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।

কলকাতা হাই কোর্ট
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ০২:১৪

এসএসসি-র নতুন পরীক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কের আঁচ ক্রমেই বাড়ছে। অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার নিয়ম বাতিল এবং নতুন ভেরিফিকেশন তালিকা প্রকাশের দাবিতে সোমবারের পর মঙ্গলবারও পথে নামলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত নম্বর প্রসঙ্গে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। তবে আন্দোলন থামাতে নারাজ প্রার্থীরা। এ বার আরও একটি নতুন মামলা দায়ের করলেন তারা।

চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীরা মঙ্গলবার আদালতে জানান, তারা এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি চান। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য মামলাটি দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। প্রার্থীদের অভিযোগ, এসএসসির প্রকাশিত তালিকায় একাধিক অনিয়ম রয়েছে, সেই অনিয়মের প্রতিবাদেই তারা অবস্থান কর্মসূচিতে বসতে চান।

শুরু থেকেই নতুন এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন চাকরি প্রার্থীদের একাংশ। তাদের দাবি, নতুন ভেরিফিকেশন তালিকা প্রকাশ না হলে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া অস্বচ্ছই থেকে যাবে। শূন্যপদ বাড়ানো নিয়েও সরব তারা। অভিযোগ উঠেছে, ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ফুল মার্কস পাওয়া বহু প্রার্থীই নাকি ইন্টারভিউ কল পাননি।

এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, যোগ্য নথি না থাকলে ভেরিফিকেশনেই বাদ পড়বেন প্রার্থীরা। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, নবম–দশম ও একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পর শূন্যপদ আরও বাড়ানোর বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চলছে। সব মিলিয়ে ফের নিয়োগ ইস্যুতে উত্তাল শহর।

ইতিমধ্যে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের আবেদনপত্র নেওয়াও শুরু হচ্ছে। পর্ষদ জানিয়েছে, ১৩ হাজারের বেশি শূন্যপদের জন্য শীঘ্রই আবেদন নেওয়া হবে। সরকারি, সরকার অনুমোদিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জুনিয়র বেসিক স্কুলে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে এই প্রক্রিয়ায়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে নিয়োগপদ্ধতি আগেই শুরু হলেও প্রাথমিক স্তরটি এতদিন আটকে ছিল।

২০১৭ সালের পর এই প্রথম প্রাথমিক পর্ষদের মাধ্যমে নিয়োগ শুরু হওয়ায় নতুন করে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। এ বার টেট নম্বরে বড়সড় পরিবর্তন আনা হয়েছে—যেখানে আগে টেটের নম্বর ছিল মাত্র ৫, সেখানে নতুন খসড়ায় তা ২৫ করা হয়েছে। তবে ডিএলএডের নম্বর কমে ১৫ থেকে ৫ হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি বিলম্বিত হওয়ায় গত সপ্তাহেই সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিলেন ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণরা। সব মিলিয়ে নিয়োগের একাধিক ইস্যু ঘিরে রাজ্যের শিক্ষা মহলে চাপানউতোর অব্যাহত।


Share