Sealdah Incident

মোবাইলের কভার কেনা নিয়ে দোকানদারের সঙ্গে বচসা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ শিয়ালদহে, গ্রেফতার দুই

বুধবার রাত ১০টা নাগাদ শিয়ালদহের শিশির মার্কেটে একটি মোবাইলের দোকানে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মোবাইলের কভার কেনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত শিয়ালদহ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:২১ আগস্ট ২০২৫ ০১:২৩

শিয়ালদহে মোবাইলের দোকানে বচসা গড়াল হাতাহাতিতে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, আহতেরা কারমাইকেল হোটেলের পড়ুয়া। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে মুচিপাড়া থানার পুলিশ।

বুধবার রাত ১০টা নাগাদ শিয়ালদহের শিশির মার্কেটে একটি মোবাইলের দোকানে ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারমাইকেল হোস্টেলের কয়েক জন আবাসিক ওই মোবাইলের দোকানে মোবাইলের কভার কিনতে গিয়েছিলেন। সেখানে দাম দরাদরি করার সময় দোকানদারের সঙ্গে বচসা বাঁধে। সেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, দোকানদারের দেখানো মোবাইলের কভার পছন্দ না হওয়ার কথা বলতেই তাদের ওপর চড়াও হয়। তাদেরকে ‘বাংলাদেশি’ বলে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া বলেও অভিযোগ করেন।

আবাসিকদের আরও অভিযোগ, তাদের লোহার রড, হকির স্টিক দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাদের বাঁচাতে হোস্টেলের অন‍্যান‍্য আবাসিকেরা যায়। তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি ছুড়ি দিয়েও কোপানোর চেষ্টা করা হয়েছে দাবি করেছে তারা। কারমাইকেলের হোস্টেলের আবাসিক ইসমাইল শেখ বলেন, “আক্রান্তদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর”।

যদিও প্রত‍্যক্ষদর্শী দোকানদারদের বলেন, “কয়েক জন যুবক ওই দোকানে এসে মোবাইলের দোকানে কভার দেখছিল। দাম দরাদরি করছিল। দেকানদারকে বাজারের দরের নীচে জিনিস দিতে হবে বলে হম্বিতম্বি করছিল। অকথ‍্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়েছে।” এই ঘটনায় রাতেই মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের সংখ‍্যালঘু পড়ুয়ারা কারমাইকেল হোস্টেলে থাকেন।

ক‍্যাম্পাসের বাইরের ঘটনা হলেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হোস্টেল সুপারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। বিকেলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কারমাইকেল হোস্টেলের সুপার-সহ আবাসিকদের প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হওয়ার কথাও রয়েছে। মুচিপাড়া থানায় পৃথকভাবে অভিযোগ জানানো হতে পারে। বিকেলের বৈঠকের পরই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে খবর।


Share