Harassment

সমাজমাধ্যম বিরোধী নেত্রীদের কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ, অধ‍্যাপককে চড়-থাপ্পড় মারল পথচলতি মহিলারা

কলেজের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে বিরোধী দলের নেত্রীদের কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশে বার বার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি করেছেন এসএফআই নেত্রী।

থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাজদীপ মাইতিকে।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১৩ জুলাই ২০২৫ ০৬:৩০

সমাজ মাধ্যমে বিরোধী নেত্রী এবং সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল কলেজের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। সমাজমাধ্যমে ইতিমধ্যেই সেই ভিডিয়ো (এখন কলকাতা এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি) ভাইরাল হয়েছে। রাজদীপ মাইতি সিটি কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অঙ্কের শিক্ষক। শনিবার কলেজ স্ট্রিটে তাঁর কলেজের সামনে থেকে কয়েক জন ধরে থানায় নিয়ে যান।

অভিযোগ, রাজদীপ রাজ‍্যের বিরোধী দলগুলির নেত্রী, সমর্থকদের উদ্দেশ্যে সমাজমাধ্যমে বার বার কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। ধর্ষণ করার হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো করে ছুরি হাতে এক গবেষককে হুমকিও দেন তিনি। বার বার বলা হলেও কুৎসিত ভাষা বলা থেকে তিনি বিরত থাকেননি বলে অভিযোগ।

সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, তাঁকে কলেজের বাইরে থেকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যাচ্ছে কয়েক জন যুবক। যেতে যেতে রাজদীপকেই চড়-থাপ্পড় মারছেন পথচলতি মহিলারা। জানা গিয়েছে, প্রথমে তাঁকে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের মুচিপাড়া থানায় যেতে বলে পুলিশ। তবে এ দিনও মহিলাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। বরং পরে রাতে রাজদীপ একা থানায় গিয়ে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ জমা দেন।

এই বিষয়ে এসএফআই নেত্রী দিপ্সিতা ধর বলেন, “দিদি ক্ষমতায় আছে বলে দিদির ছোট ছোট ভাইয়েরা যা খুশি করতে পারেন না। কিছু দিন আগে প্রকাশ্য লাইভে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন রাজদীপ। এ রকম রাজদীপ-মনজিতের মতো মানুষের বিভিন্ন কলেজে রয়েছে।“ তিনি আরও বলেন, “অনেক দিন হয়েছে রাজদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়ে, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষও কোনও পদক্ষেপ করেনি।” 

এক জন কলেজ শিক্ষক কী করে সমাজমাধ্যমে মেয়েদের বিষয়ে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি, রাজদীপের কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন তাঁর বিষয়ে পদক্ষেপ করছেন না, সে প্রশ্নেরও সদুত্তর মেলেনি। তৃণমূলের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ওয়েবকুপা অবশ্য স্থানীয় স্তরে রাজদীপের কাছে তাঁর আচরণের ব্যাখ্যা চেয়েছেন। রাজদীপ তাঁর সমাজমাধ্যমের পোস্ট কয়েক জন অ্যাডমিনের করা বলে দাবি করেন, যা অনেকের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।

ওয়েবকুপা সূত্রের খবর, রাজদীপ তাঁর পোস্ট অনিচ্ছাকৃত বলেই দাবি করেন। তাঁর থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত উত্তর এখনও আসেনি। তবে রাজদীপের পোস্টে নানা অপশব্দ এখনও দৃশ্যমান। বার বার অভিযোগ উঠলেও ব্যবস্থা নিতে পুলিশি টালবাহানার ফলে যা ঘটে, কার্যত সেটাই এ বার দেখা গেল।


Share