High Court

আগের টাকার হিসেব দিলে তবেই মিলবে পুজোর অনুদান, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের

বুধবার দূর্গাপুজোর অনুদান সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলার শুনানিতে আদালত এমন নির্দেশ দিয়েছে।

আগের হিসেব দিলেই মিলবে এই এ বছরের অনুদান।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:২৮ আগস্ট ২০২৫ ০১:০২

আগের বারে যে সব দূর্গাপুজো কমিটি সরকারি অনুদান নিয়েছে, তাঁদেরকে দিতে হবে স্বচ্ছ হিসেব। হিসেব দিলেই মিলবে এ বছরের রাজ্য সরকারের অনুদান। বুধবার এমনটাই জানাল কলকাতা হাই কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে সব দূর্গাপুজো কমিটি ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করেনি তাঁদের টাকা দেওয়া যাবেনা।”

দূর্গাপুজোয় অনুদান দেওয়া নিয়ে মামলা গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে। এই মামলার পূর্ববর্তী শুনানিতে রাজ‍্যকে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছিল বিচারপতি সুজয় পাল এবং স্মিতা দাস দের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবারের শুনানিতে অনুদান বন্ধ করার নির্দেশ না দিলেও কিছু শর্ত হাই কোর্ট বেঁধে দিয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশ, যে সব দুর্গাপুজো কমিটিগুলি টাকা খরচের হিসেব দিতে পেরেছে, তাঁরাই এ বছর সরকারি অনুদান পাবেন। যে সব দূর্গাপুজো কমিটিগুলি খরচের শংসাপত্র (ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) জমা দেননি তাঁদের টাকা দেওয়া যাবে না। এ দিন আদালত আরও জানিয়েছে, আগের নির্দেশ মেনেই খরচের শংসাপত্র জমা দিতে হবে। রাজ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই তা জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ।

আগের শুনানিগুলিতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেড জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মানুষেরস্বার্থে অনুদান ঘোষণা করেন। প্রতিবছর এমন মামলা হয়। পুজোর পর মামলার কোনও মূল্য থাকেনা। মামলাখারিজের দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু হলফনামা জমা দিতে বলে আদালত। উল্লেখ্য, ২০১৯-এর দূর্গাপুজোকমিটিগুলোকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করে রাজ্য। ২০২০ সালে সেই অনুদানের পরিমাণ বেড়ে৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। এবার অনুদান বেড়ে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। 

এ দিন রাজ‍্যের কতগুলি দুর্গাপুজো কমিটি সরকারি অনুদান পায় তা হলফনামা নিয়ে রাজ্যকে জানাতে বলেছিল হাই কোর্ট। রাজ্য আদালতকে জানিয়েছে, গতবছর কলকাতা পুলিশ এলাকায় দু’হাজার ৮৭৬টি পুজো কমিটিকেঅনুদান দেওয়া হয়েছিল। রাজ‍্যের দাবি, শহরের পুজো কমিটি অনুদান খরচের হিসাব বা ‘ইউটিলাইজেশনসার্টিফিকেট’ সময়ের মধ্যে জমা দিয়েছে। অন্যদিকে, জেলা পুলিশের তরফ থেকে ৪১ হাজার ৭৯৯টি চেক তৈরিছিল। তার মধ্যে ৪১ হাজার ৭৯৫টি পুজো কমিটি এই অনুদান গ্রহণ করেছে। তাঁদের মধ্যে খরচের হিসাব দিয়েছে৪১ হাজার ৭৯২টি পুজো কমিটি। শিলিগুড়ির তিনটি পুজো কমিটি খরচের শংসাপত্র (ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) জমা দেয়নি।


Share