Rape Case

যে গাড়িতে নির্যাতন, তা পায়নি পুলিশ, কড়েয়া গণধর্ষণকান্ডের ১১ বছর পর তিন অভিযুক্তের বেকসুর খালাস নিম্ন আদালতে

কড়েয়ায় গণধর্ষণ মামলায় তিন অভিযুক্ত- শাহজাদা বক্স, জামাল উর রহমান এবং আকবর খানদের বেকসুর খালাস করে দিল আলিপুর আদালত। ঘটনার ১১ বছর পর রায়দান হল।

নিম্ন আদালতে বেকসুর খালাস গণধর্ষণের তিন অভিযুক্ত।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১৬ জুলাই ২০২৫ ১২:২৮

২০১৪ সালের জুন মাসে কড়েয়ায় গণধর্ষণকান্ডের তিন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিল আলিপুর আদালত। বিচারক অঞ্জন সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, যে গাড়িতে তুলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল, তা বাজেয়াপ্ত করতে পারেনি পুলিশ। ফরেন্সিকের রিপোর্টও ঠিকঠাক আসেনি। সেই কারণেই তিন অভিযুক্ত শাহজাদা বক্স, জামাল উর রহমান এবং আকবর খানদের বেকসুর খালাস করা হয়েছে। যদিও নির্যাতিতার আশঙ্কা, অভিযুক্তেরা বাইরে বার হলে তিনি আবার নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

২০১৪ সালে কড়েয়ার বন্দেল গেটে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ২০ জুন রাতে বন্দেল গেটে রুটি কিনতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় কয়েক জন যুবক জোর করে গাড়িতে তোলেন। গাড়িতে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। তার পরে রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি জামিনে ছাড়া পান। অভিযোগ, ছাড়া পাওয়ার পরে নির্যাতিতার এক আত্মীয়কে ধর্ষণ করে। সেই মামলায় ফের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

এ দিন সরকার পক্ষের আইনজীবী মৃদুলা বিশ্বাস জানান, বিচারকের পর্যবেক্ষণ হল, যে গাড়িতে নির্যাতন হয়েছিল, তা উদ্ধার করা যায়নি। যে জায়গা থেকে নির্যাতিতাকে গাড়িতে তোলা হয়েছিল এবং যে জায়গায় তাঁকে নামানো হয়, তা চিহ্নিত করে ছবি তোলা হয়নি। ঘটনাস্থল ঠিক কোনটা, তা-ও পুলিশ জানতে পারেনি। ফরেন্সিক রিপোর্টও ঠিকঠাক আসেনি। কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক অঞ্জন সেনগুপ্ত। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। আইনজীবী এই ঘটনায় আরও তদন্তের দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে সিনিয়র অফিসারের নজরদারিতে আরও সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হোক।

এই রায়ের পরে নির্যাতিতা নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন নির্যাতিতা।


Share