Kasba Rape Case

পরিকল্পনা করে ধর্ষণ করে মনোজিৎ! পুলিশি জেরায় দাবি কসবা ধর্ষণকাণ্ডের ধৃত প্রমিত এবং জইয়েবের

পরিকল্পনা করেই ধর্ষণ করা হয়েছে, পুলিশি জেরার মুখে এমনটাই দাবি করেছে কসবা ধর্ষণকাণ্ডের অন্যতম দুই অভিযুক্তেরা। তাদের জেরা করে আরও জানতে চাইছে পুলিশ।

পরিকল্পনা করেই অপরাধ সংঘটিত করা হয়েছে, জেরায় দাবি প্রমিত এবং জইয়েবের।
এখন কলকাতা ডেস্ক: কলকাতা
  • শেষ আপডেট:৩০ জুন ২০২৫ ০৯:৫৮

কসবার ল কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণ করার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। ঘটনা ঘটার দু’দিন আগেই ছক কষা হয়েছিল। ধর্ষণকাণ্ডের অপর দুই অভিযুক্ত প্রমিত এবং জইয়েব জেরায় এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনা কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। আগে থেকে এই ঘটনার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং জইয়েব আহমেদের ওপর পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত করার দ্বায়িত্ব ছিল।

কসবার ল কলেজের ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডে ওই কলেজের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা মনোজিৎ মিশ্র ও তার দুই সঙ্গী প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং জইব আহমেদকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, পুলিশের জেরায় প্রমিত ও জায়েব ২৫ জুনের ঘটনার বিষয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছে। তারা অভিযোগ করেছে যে, অপরাধের দুই দিন আগেই মনোজিৎ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেছিল। সেই মর্মে মনোজিৎ তার সহযোগী প্রমিত এবং জইবকে পরিকল্পনার কথা জানায়।

কসবার ল কলেজে মনোজিৎ মিশ্র যে কতটা প্রভাবশালী ছিল তা কলেজের ছাত্ররাই অভিযোগ করেছেন। নির্যাতিতা ছাত্রীও অভিযোগপত্রে একই দাবি করেছেন। পরিকল্পনা ছিল, নির্যাতিতা ছাত্রীকে ওই কলেজের মহিলাদের বিভাগে সম্পাদক করে দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হবে। গত ২৫ জুন যখন ওই ছাত্রী কলেজে ফর্ম ফিলাপ করতে আসবে, তখন কোনো কাজের ছুতোয় তাকে ব্যস্ত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

‘দাদা’র পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্যাতিতাকে বাকি দুই অভিযুক্ত বাইরে ডাকে। ‘দাদার প্রতি আনুগত্য’ দেখালেই যে রাজনৈতিক পদ পাওয়া যাবে তা নির্যাতিতাকে বলে। কলেজ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার পথ আটকানো হবে, এটাও ছিল তাদের পরিকল্পনার মধ্যেই। পুলিশের জেরায় প্রমিত এবং জইয়েব এমনটাই জানিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এর পরেই মনোজিতে দুই সঙ্গী ছাত্রীকে বাথরুমের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে মনোজিৎ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করলে নির্যাতিতা অস্বীকার করেন। এর পরই কলেজের নিরাপত্তারক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

গত দু’মাস আগে কাসবা এলাকায় মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে এটিএমের নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। নিরাপত্তারক্ষী পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। মনোজিৎ সেই পুলিশ গাড়ি ভাঙচুর করে এবং পিসিআর ভ্যানে থাকা এক সহকারী সাব-ইন্সপেক্টরকেও মারধর করে। পুলিশ তাকে তাকে গ্রেফতার করে। যদিও পুলিশ তার বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে। পরের দিনই আদালতে তাকে জামিনে মুক্তি দেয়।


Share