Special Intensive Rivision

প্রজেনি ম্যাপিং–এ গরমিল, বাবা–মার জায়গায় দাদু–ঠাকুমার নাম! রাজ্যে বিএলওদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন

কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যেখানে বাবা–মায়ের নাম অনুপস্থিত ছিল, সেখানে ভুলবশত ঠাকুরদা–ঠাকুরমার নামের সঙ্গে প্রজেনি ম্যাপিং করে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ হয়ে গিয়েছে বহু ক্ষেত্রে। অনেক ভোটার পরিবারের ক্ষেত্রে বাবা-মা ও সন্তানের বয়সের পার্থক্য ১৫ বছরেরও কম, কোথাও আবার বাবা-মায়ের বয়স দেখানো হয়েছে সন্তানের থেকেও কম! এসবই বর্তমানে কমিশনের কড়া নজরদারিতে।

প্রতীকী চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ০১:০৯

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়েছে। বাবা-মায়ের নামের জায়গায় প্রজেনি ম্যাপিং–এ বহু ক্ষেত্রে দাদু–ঠাকুমার নাম দেখিয়ে ফর্ম পূরণ করা হয়েছে। এই গরমিল নিয়ে বিএলওদের কাজের উপর তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে শেষ মুহূর্তে বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যেখানে বাবা–মায়ের নাম অনুপস্থিত ছিল, সেখানে ভুলবশত ঠাকুরদা–ঠাকুরমার নামের সঙ্গে প্রজেনি ম্যাপিং করে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ হয়ে গিয়েছে বহু ক্ষেত্রে। আরও উদ্বেগের বিষয়, অনেক ভোটার পরিবারের ক্ষেত্রে বাবা-মা ও সন্তানের বয়সের পার্থক্য ১৫ বছরেরও কম, কোথাও আবার বাবা-মায়ের বয়স দেখানো হয়েছে সন্তানের থেকেও কম! এসবই বর্তমানে কমিশনের কড়া নজরদারিতে।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী দফতর জানিয়েছে, ৩,৮৪,৮৫,১৬৬ জন ভোটার প্রজেনিদের নাম দেখিয়ে ফর্ম পূরণ করেছেন, যা মোটের ৫০.২২%।

আরবান অঞ্চল বিশেষ করে কলকাতা ও সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে এই গরমিল সর্বাধিক। কলকাতা ছাড়াও কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং নদীয়া জেলায় একই ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে।

এছাড়া, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও সঠিকভাবে ফর্ম পূরণ করেছেন মাত্র ২,৯৩,৫২,৪৯৩ জন ভোটার, যা ৩৮.৩%।

কমিশন জানাচ্ছে, গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে সমস্যা সবচেয়ে বেশি। কলকাতা ও সীমান্তবর্তী আরবান বিধানসভাগুলিতে ৭০–৭৫ হাজার করে মৃত, শিফটিং এবং মিসিং ভোটারের নাম পাওয়া যাচ্ছে। ন্যূনতম সংখ্যাও ২০–২৫ হাজার।

এই অনিয়মের মাঝেই আরও বিস্ফোরক অভিযোগ, সাউথ সিটি থ্রি নম্বর টাওয়ারের ১৬ বি ফ্ল্যাটের এক ভোটার মহিলা বিএলও–কে হুমকি ও অশ্রাব্য গালাগাল করেন। সেই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে নির্বাচন কমিশন।

অভিযোগ, নিশান্থ আহমেদ নামে ওই ব্যক্তির পরিবারের ভোটার নাম অন্য ঠিকানায় রয়েছে। তারা এখন সাউথ সিটিতে থাকেন না। ওই মহিলা বিএলও বর্তমানে যাদবপুর থানায় আছেন, সঙ্গে রয়েছেন সুপার ভাইজারও।


Share