Maharakan

মহাকরণ থেকে প্রিন্টার চুরির অভিযোগ, সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে গ্রেফতার এক যুবক

ধৃতের নাম মিঠুন রায়। তিনি বারাসতের বাসিন্দা। মহাকরণ, নিউ সেক্রেটারিয়াট এবং কাস্টমস হাউসে বেশ কিছু দিন ধরে অফিসের প্রিন্টার চুরি যাচ্ছিল। মিঠুন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে আছেন বলে জানা গিয়েছে।

মহাকরণ থেকে প্রিন্টার চুরির অভিযোগে গ্রেফতার এক।
নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১৮ জুলাই ২০২৫ ১০:৪৫

মহাকরণ থেকে পর পর বেশ কয়েকটি চুরি গিয়েছে প্রিন্টার। শুধু তাই নয় কাস্টমস হাউস এবং নিউ সেক্রেটারিয়াট অফিস থেকেও প্রিন্টার চুরির অভিযোগ উঠেছে। সেই চুরির ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত ওই সব এলাকা থেকে প্রায় ২৫-৩০টি প্রিন্টার চুরি করেছে। তার পর তা খোলা বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই চারটি প্রিন্টার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ধৃতের নাম মিঠুন রায়। তিনি বারাসতের বাসিন্দা। মহাকরণ, নিউ সেক্রেটারিয়াট এবং কাস্টমস হাউসে বেশ কিছু দিন ধরে অফিসের প্রিন্টার চুরি যাচ্ছিল। অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরেই এই ঘটনা ঘটছিল বলে দাবি। জানা গিয়েছে, এই সব অফিসগুলির কোনটিতেই মূল গেট ছাড়া কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। ফলে নজরদারির অভাবকে কাজে লাগিয়ে ভিতরে ঢুকে যেত অভিযুক্ত। তার পর প্রিন্টার ব‍্যাগে ভড়ে পালিয়ে যাচ্ছিল মিঠুন।

জানা গিয়েছে, সমস্ত চুরির অভিযোগ একত্রিত করে হেয়ার স্ট্রিট থানার দ্বারস্থ হন আধিকারিকেরা। তদন্ত শুরু করেই প্রথমেই অফিসগুলির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পুলিশ সুত্রের খবর, সরকারি অফিসে প্রতিদিন প্রচুর লোক আসা যাওয়া করে। ফলে অভিযুক্তকে বাগে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে পুলিশ সুত্র মারফত জানতে পারে, মিঠুন কম্পিউটার সার্ভিস করার কাজের সঙ্গে যুক্ত। সল্টলেকের বিকাশ ভবনেও সে কম্পিউটার সার্ভিস করার কাজ করেছে। সেই সুত্র থেকেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মিঠুনের বাড়ি বারাসতে। এর পরেই পাতা হয় ফাঁদ। পুলিশের দাবি, ঘটনাচক্রে সে আবার চুরি করার উদ্দেশ্য নিয়ে মহাকরণে আসে। তখনই তাকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, মিঠুন বারাসতের ভাড়া বাড়িতে থাকেন। যখনই ভাড়া দেওয়ার দিন আসত একটা করে প্রিন্টার চুরি করে খোলা বাজারে বিক্রি করে দিতেন। বর্তমানে অভিযুক্ত মিঠুন রায় বিচারবিভাগীয় হেফাজতে আছেন বলে জানা গিয়েছে।


Share