Kolkata Police

ভাঙড়ে পরপর অশান্তির জের, পুলিশ লাইন করতে চেয়ে জমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করল লালবাজার

গত সোমবার ভাঙড়ে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে আইএসএফের ডাকা সমাবেশে আসা সমর্থক ভর্তি গাড়িকে পুলিশ ভাঙড়ে আটকে দেয় বলে অভিযোগ।

লালবাজার।
এখন কলকাতা ডেস্ক, কলকাতা
-নিজস্ব চিত্র।
  • শেষ আপডেট:২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০০

ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ এর প্রতিবাদ মিছিল ঘিরে অশান্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। এ বার পৃথক পুলিশ লাইন করার কথা ভাবছে লালবাজার। এই পুলিশ লাইন হলে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করছে লালবাজার। পাশাপাশি পুজোর আগেই যাতে প্রস্তাবিত বাকি চারটি থানার চালু করা যায় সেই নিয়েও তৎপর হতে আধিকারিকদের বলেছে লালবাজার।? 

লালবাজার মনে করছে, ভাঙড় ডিভিশনের চারটি থানার পাশাপাশি যদি একটি পুলিশ লাইন থাকে তাহলে সেখানে পুলিশ বাহিনীকে সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। তাঁদের মতে, অশান্তির ঘটনা ঘটলে কলকাতা থেকে পুলিশবাহিনী নিয়ে যেতে অনেকটাই সময় লেগে যাচ্ছে। তাই পৃথক পুলিশ লাইন হলে বাহিনীকে সেখানে সংরক্ষণে রাখা যাবে। অশান্তি ঠেকাতে দ্রুত বাহিনীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো সম্ভব হবে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই থানার পাশে অথবা ডেপুটি কমিশনারের অফিসের পাশে জমি চিহ্নিত করতে বলেছে লালবাজার। শনিবার লালবাজারে মাসিক অপরাধ দমন নিয়ে একটি বৈঠক করেন কলকাতার কমিশনার মনোজকুমার বর্মা। সেখানেই কমিশনার আধিকারিকদের এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।? 

বর্তমানে ভাঙড় ডিভিশনে হাতিশালা, বিজয়গঞ্জ বাজার, মাধবপুর এবং বোদরা এই চারটি থানার কাজ ওই ডিভিশনের বাকি চারটি- পোলেরহাট, উত্তর কাশীপুর, ভাঙড় এবং চন্দনেশ্বর থানার ওসিরা সামলান। প্রস্তাব থাকলেও হাতিশালা, বিজয়গঞ্জ বাজার, মাধবপুর এবং বোদরা থানা করে উঠতে পারেনি রাজ্য সরকার। লালবাজার মনে করছে, এটা গত ২০২৩ সালেই ঠিক হয়েছিল। লাল দড়ির ফাঁসে তা দীর্ঘদিন আটকে ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে ভাঙড়ে ঘটে চলা অশান্তির জেরে পুলিশ লাইন তৈরি করা অত্যাবশক বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। হাতিশালা-সহ চারটি থানাকেও পুজোর আগেই চালু করতে চাইছে লালবাজার। উল্লেখ্য ২০২১ সালে নেতাজি বাহিনীর তৈরি করার কথা ছিল। সেই বাহিনীতে তিন থেকে চার জন আধিকারিক ছাড়া কেউ তেমন নেই। কনস্টেবলেরও অভাব রয়েছে। নতুন নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। সেক্ষেত্রে নতুন পুলিশ লাইন বা ওই চারটি থানাতে বাহিনী কোথা থেকে আসবে তা নিয়ে সংশয়ে প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিশের একাংশ।? 

গত সোমবার ভাঙড়ে ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ বাতিলের প্রতিবাদে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নিয়েছিল ভাঙার। আইএসএফ কর্মীদের ছোঁড়া পাথরের আঘাতে ১৬ জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছিলেন। এক জখম পুলিশকর্মীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমরা সংখ্যায় কম ছিলাম।” বাহিনী দেরীতে পৌঁছানোয় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। জ্বালানো হয়েছিল পুলিশের গাড়িও। সেই পরিস্থিতিতে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল পুলিশ। ১৯ জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। এ বার সেই আবহেই প্রস্তাবিত পৃথক পুলিশ লাইন এবং বাকি চারটি থানা চালু করতে তৎপর হল কলকাতা পুলিশ।? 


Share