13 Had Been Questioned on Jadavpur Case

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীমৃত‍্যুর তদন্তে ১৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করল লালবাজারের গোয়েন্দারা, উদ্ধার মৃতার জুতো

গত বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মন্ডলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের কাছে একটি পুকুর থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়।

যাদবপুরে ছাত্রীমৃত‍্যুর ঘটনায় ১৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:১৭

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলকে খুনের মামলার তদন্তে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ। লালবাজার সূত্রের খবর, গতকাল ছ’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরও সাত জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দারা।

পরে সেই ঘটনার তদন্তভার যায় লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দাদের কাছে। গোয়েন্দারাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) রূপেশ কুমার। লালবাজার সুত্রের খবর, অনামিকা মণ্ডলের খুনের তদন্তে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার মিলিয়েই ১৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনার পরে সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভিতে যত জনকে দেখা গিয়েছে, তাদের সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, সেদিন কী ঘটেছিল, যে বা যারা সেখানে উপস্থিত ছিল, তাদের সবাইকে ডেকে বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। এর পরে তা যাচাই করে দেখা হবে। লালবাজার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সেদিনের অনুষ্ঠানে কিছু শিক্ষকও উপস্থিত ছিলেন। সিসিটিভিতে তা দেখা গিয়েছে। তাদেরকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে জানা গিয়েছে।

যে দিন অনামিকার দেহ উদ্ধার হয়, সেদিন তার জুতো মেলেনি। মেলেনি চশমাও। লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা তদন্তে নেমেই ওই পুকুরে ডুবুরি নামান। দীর্ঘ ক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে একটি জুতো উদ্ধার হয়। এই বিষয়ে লালবাজারের এক কর্তার কথায়, উদ্ধার হওয়া জুতো অনামিকারই। ম‍্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তাঁর বাবা তা শণাক্ত করেছে। তবে অনামিকার চশমা কোথায়, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। এই বিষয়ে ওই পুলিশকর্তা বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

গত বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মন্ডলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের কাছে একটি পুকুর থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, ডুবে যাওয়ার কারণেই অনামিকার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পুলিশের সেই দাবি উড়িয়ে পরিবারের সদস্যেরা খুনের অভিযোগ করেন। কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মার সঙ্গে দেখাও করেন তারা। সেই দিনই যাদবপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার দিন রাতে ঠিক কী হয়েছিল, কী ‘মিসিং লিঙ্ক’ রয়েছে, তা-ই জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা।


Share