DNA samples on victims clothes match those of Monojit Mishra

অভিযোগকারীর পোশাকে থাকা ডিএনএ নমুনা মনোজিৎ মিশ্রের সঙ্গে মিলেছে বলে আদালতে চার্জশিটে দাবি কলকাতা পুলিশের

গত ২৫ জুন ক‍্যাম্পাসের ভিতরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি একজন প্রাক্তন ছাত্র এবং দু’জন সিনিয়র ছাত্র দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন।

প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:৫২

কসবার দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজের ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে বলে চার্জশিটে দাখিল করে আদালতে জানাল পুলিশ। 
কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা চার্জশিটে দাবি করেছেন, দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজের একটি ছাত্রীকে ধর্ষণে প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ 'ম্যাঙ্গো' মিশ্রের জড়িত থাকার বিষয়টি ডিএনএ রিপোর্ট বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। 
সোমবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ বছর বয়সী ওই অভিযোগকারীর পোশাকের নমুনা থেকে পাওয়া ডিএনএ ফরেনসিক পরীক্ষার ফলাফল অভিযুক্তদের নমুনার সঙ্গে মিলেছে। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত, উভয়েরই রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করেছিল পুলিশ। 
আলিপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। সেই চার্জশিটে কলেজের প্রাক্তন ছাত্র প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র-সহ আরও তিনজনের নাম উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ডিএনএ পরীক্ষায় অপরাধের জায়গা (শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গার্ড রুমের ভিতরে) থেকে উদ্ধার হওয়া নমুনা এবং অভিযুক্তের থেকে প্রাপ্ত নমুনার সঙ্গে মিলে গিয়েছে। ডিএনএ রিপোর্ট এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণগুলির মধ্যে একটি বলে ওই পুলিশ অফিসার সংবাদসংস্থাকে জানান। 
পুলিশ চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, কলেজ চত্বরের সিসিটিভি ফুটেজ এবং কাছাকাছি দুটি দোকানের রেকর্ডিংও অপরাধের প্রমাণকে নিশ্চিত করেছে। ওই পুলিশ অফিসার পিটিআইকে বলেছেন, “ফুটেজে দেখা গিয়েছে অপরাধের স্থানটি গার্ডের ঘরের ভিতরে ছিল। অন্য দুই অভিযুক্ত, প্রমিত মুখার্জি এবং জায়েব আহমেদ ঘরের বাইরে দাঁড়িয়েছিল এবং নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব পালনে অবহেলার ভূমিকাও দেখা গিয়েছে।” 
তিনি জানিয়েছেন, এখন তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন থেকে সংগৃহীত ভয়েসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর আদালতে ফাইনাল চার্জশিট দাখিল করা হবে। 
গত ২৫ জুন ক‍্যাম্পাসের ভিতরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি একজন প্রাক্তন ছাত্র এবং দু’জন সিনিয়র ছাত্র দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন। 
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাক্তন ছাত্র মনোজিৎ মিশ্র-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য নিরাপত্তারক্ষী-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে তদন্ত চলছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে ধর্ষণের প্রমাণ জোটাতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।


(যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তার গোপনীয়তা রক্ষার জন্য অভিযোগকারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।)


Share