Bhangar Incident

ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনায় বাড়ল গ্রেফতারির সংখ্যা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং তাণ্ডবের ঘটনায় গ্রেফতার ১৬

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আইএসএফের মিছিলে অশান্তির ঘটনায় আরও বাড়ল গ্রেফতারির সংখ্যা। লালবাজার জানিয়েছে, ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১৬ জনকে।

জ্বলছে পুলিশের মোটরবাইক।
এখন কলকাতা ডেস্ক: কলকাতা
-নিজস্ব চিত্র।
  • শেষ আপডেট:১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০০

সংশোধিত ওয়াকফ আইন ২০২৫ ঘিরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুরের ঘটনায় আরও বাড়ল গ্রেফতারির সংখ্যা। আরও সাত জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। লালবাজার জানিয়েছে, উত্তর কাশীপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চার জনকে। হাতিশালা থেকে ধরা পড়েছেন আরও তিন জন। ফলে সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় মোট গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬। বাকি অভিযুক্তদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।? 

ভাঙড়ে পুলিশের উপরে আক্রমণ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া এবং পুলিশকর্মীদের মারধর করার ঘটনার তদন্তে নেমে আগেই ন’জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতদের অধিকাংশের বাড়ি উত্তর কাশীপুর থানা এলাকায়। এক জন চন্দনেশ্বর থেকে ধরা পড়েন। এ ছাড়া, ৩০ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। বুধবার তাঁদের মধ্যে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশকে খুনের চেষ্টা, অবৈধ জমায়েত, সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। লালবাজার জানিয়েছে, বুধবারই তাঁদের বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।? 

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচটি মামলা রুজু করা হয়েছে। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় সোমবার কলকাতার রামলীলা ময়দানে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে কলকাতা পুলিশ তাঁদের গাড়ি আটকায়। তৈরি হয় ক্ষোভ। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধেরা। বেশ কয়েকটি পুলিশের মোটরবাইকে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভাঙচুর করে উল্টে দেওয়া হয়েছে একটি প্রিজন ভ্যান। সোমবার দুপুরের ওই ঘটনার পর থেকেই পদক্ষেপ করে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে ভাঙড়ের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। রাতে কলকাতা পুলিশের তরফে সমাজমাধ্যমে জানানো হয়, ভাঙড়ের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলাও দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষকে কোনও রকম গুজবে কান না-দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল পুলিশ। একই সঙ্গে সতর্ক করে দেওয়া হয়, কেউ মিথ্যা তথ্য ছড়ালে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে।? 

আইএসএফ কর্মীদের দাবি, তাঁরা রামলীলা ময়দানের সেই কর্মসূচিতেই যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেখানে ভাঙড়, মিনাখাঁ এবং সন্দেশখালির আইএসএফ কর্মী-সমর্থকেরা ছিলেন। কিন্তু বাসন্তী হাইওয়ের উপর বৈরামপুরের কাছেই তাঁদের গাড়ি আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাস্তা অবরোধ করেন আইএসএফ কর্মীরা। তা নিয়েই সোমবার দুপুরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ভাঙড়ের শোনপুরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠির আঘাতে একজনের মাথা ফেটেছে। জখম হয়েছেন বেশ কয়েক জন।? 

জানা গিয়েছে, পুলিশের অন্তত পাঁচটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইট মেরে ভাঙা হয়েছে কলকাতা পুলিশের গাড়ির কাচ। ভাঙচুর চালানো হয়েছে প্রিজন ভ্যানেও। ভাঙচুরের পর সেটিকে রাস্তায় উল্টে দেওয়া হয়।? 


Share