Noapara to Bimanbandar Metro Trial

এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ‘ভূগর্ভস্থ’ মেট্রো স্টেশন বিমানবন্দর! সফল হল ট্রায়াল রান, নজির কলকাতা মেট্রোর

ইস্টওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্লানেড-শিয়ালদহ রুটে রেক ট্রায়াল রান আগেই সফল হয়েছিল। এ বার হলুদ লাইনে (ইয়েলো) নোয়াপাড়া-জয়হিন্দ বিমানবন্দর রুটে রেক ট্রায়াল রান সফল হল। পাশাপাশি বিমানবন্দর স্টেশন এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ভূগর্ভস্থ স্টেশন হবে বলে দাবি করেছে কলকাতা মেট্রো।

জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি যাত্রাপথ খতিয়ে দেখছেন।
এখন কলকাতা ডেস্ক, কলকাতা
- নিজস্ব চিত্র
  • শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০০

এসপ্লানেড-শিয়ালদহ শাখায় রেক ট্রায়াল রান আগেই সফল হয়েছিল। এ বার নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রথম রেক চালিয়ে ট্রায়াল রানে সফলতা পেল মেট্রোরেল। পাশাপাশি জয়হিন্দ বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশন এশিয়ার বৃহত্তম ভূগর্ভস্থ স্টেশনগুলির মধ্যে একটি হতে চলেছে বলেও জানিয়ে মেট্রোরেলে।? 

শুক্রবার মেট্রোরেল জানিয়েছে, নোয়াপাড়া এবং জয়হিন্দ বিমানবন্দর স্টেশনের মাঝে রয়েছে থেকে দু’টি স্টেশন। দমদম ক্যান্টনমেন্ট এবং যশোর রোড। যাত্রীদের বিমানবন্দর পৌঁছতে গেলে নোয়াপাড়া স্টেশন থেকেই পরিবর্তন করতে হবে।? 

১৪ হাজার ৬৪৫ বর্গ মিটার জায়গা নিয়ে তৈরি জয়হিন্দ বিমানবন্দরে থাকছে মোট পাঁচটি প্লাটফর্ম। ছ’টি সিঁড়ি, ১২টি চলমান সিঁড়ি এবং ছ’টি লিফ্ট রয়েছে। ভূগর্ভস্থ পথ ব্যবহার করে যাত্রীরা যশোর রোডের দিকেও যেতে পারবেন বলে জানিয়েছে মেট্রো। উল্লেখ্য, নয়াপাড়া থেকে জয়হিন্দ বিমানবন্দরের দূরত্ব সাত কিলোমিটার।? 

মেট্রো জানিয়েছে, এখানে একটি ৩৩০ মিটারের সাবওয়ে রয়েছে। এই যশোর রোডের সঙ্গে বিমানবন্দরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করবে। এখানেও যাত্রীদের সুবিধার্থে ৩টি চলমান সিঁড়ি, ২টি সাধারণ সিঁড়ি এবং ২টি লিফ্ট থাকবে।? 

এ দিন দুপুর ১২টা ০৯ মিনিট নাগাদ একটি রেক নোয়াপাড়া স্টেশন ছাড়ে। জয়হিন্দ বিমানবন্দর স্টেশন পৌঁছয় ১২টা ৩১ নাগাদ। জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি মোটরম্যানের কেবিনে থেকেই গোটা পথ সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। দমদম ক্যান্টনমেন্ট ও যশোর রোড স্টেশনের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছেন। পরে বিমানবন্দর স্টেশনে মেট্রোর আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন।? 

শুক্রবার দুপুরে মেট্রোর রেক ট্রায়াল রানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এই পরিষেবা চালু হয়ে গেলে খুব অল্প সময়ই বিমানবন্দর পৌঁছে যাবে যাত্রীরা। চলতি বছরেই সাধারণ মানুষের জন্য পরিষেবা চালু করা যাবে বলে আশাবাদী তাঁরা।? 


Share