Kolkata Municipal Corporation

জমির রেকর্ড পরিবর্তন করে অবৈধ নির্মাণের অনুমতি কলকাতা পুরসভার! তদন্তের নির্দেশ ফিরহাদের

কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি ওই অভিযুক্ত প্রমোটার গৌতম দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এখন কলকাতা ডেস্ক, কলকাতা
- নিজস্ব চিত্র
  • শেষ আপডেট:০৪ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০০

শহরে অবৈধ নির্মাণ রুখতে আগেই কড়া নির্দেশ দিয়েছিল মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এ বার জমির নথি পরিবর্তন করে নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ এবং তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্রমোটারের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, খবর জানাননি হতেই মিলতেই ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা-ও তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই অভিযুক্ত প্রমোটারের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।? 

কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের মহেন্দ্র সরকার স্ট্রিটে ওই অবৈধ নির্মাণ হয়েছে বলে অভিযোগ। আজ, শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের এক আইনজীবী সায়ন্তক দাস এই অভিযোগ করেছে। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, সায়ন্তক গত বছরের অক্টোবর মাসে পুরসভাকে একটি আরটিআই করেছিলেন। তাঁর বাড়ির সামনে তৈরি হওয়া নির্মাণ সংক্রান্ত সেই নথিতে জমির পরিমাণ ছিল ১১০০ বর্গফুট। কলকাতা পুরসভা মূল সার্ভারেরও ১১০০ বর্গফুটের হিসেব রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, প্রিন্টেট নথিতে ১২০০ বর্গফুট জায়গা দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এর কারণ হিসেবে তাঁর বক্তব্য, “গৌতম দাশগুপ্ত নামে এক স্থানীয় প্রোমোটার ওই জমিতে ভাড়াটে রয়েছে বলে ভুয়ো তথ্য দিয়ে ১১০০ এর জায়গায় ১২০০ বর্গফুট করেছে। যায় ফলে সেখানে পাঁচ তলা নির্মাণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, “ওই জমিটাতে কোনও ভাড়াটে ছিল না। বাড়ির মালিকের সঙ্গে মিলে নথিতে কারচুপি করে এ সব করেছে প্রোমোটার। এতে পুরসভার কেউ জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সায়ন্তক দাস।? 

এর পর তিনি একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। গত জানুয়ারি মাসে কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দ্বারস্থ হন। গোটা বিষয়টি তাঁকে জানান। অভিযোগ, কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কেউ বা কারা এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। মেয়র ফিরহাদ হাকিমও এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, গৌতম দাশগুপ্ত নামে ওই প্রমোটার স্থানীয় তৃণমূলকর্মী।? 

মেয়র ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ পেয়েই ওই নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, পুরসভার ওই বিভাগের কে বা কারা যুক্ত রয়েছে তা-ও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র। এ দিন তিনি বলেন, “আমরা এর তদন্ত পুরসভার ভিজিলেন্সকে দিয়েছি। আইবি রিপোর্টে ভুয়ো ভাড়াটে দেখিয়ে পাঁচ তলার অনুমোদন দিয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলেছি। অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না। আগে ‘চোরপোরেশন’ বলা হত। আমি আসার পর সব অনলাইন করে দিয়েছি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”? 


Share