Jadavpur University

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ও নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের কাজ কবে শেষ হবে, এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে নির্দেশ হাই কোর্টের

কলকাতা হাইকোর্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে সিসিটিভি বসানো ও নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের সময়সীমা এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামায় জানাতে নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য ইতিমধ্যেই বরাদ্দ করেছে ৬৭ লক্ষ টাকা।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:৩৫

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন ও সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজে ঠিক কতদিন সময় লাগবে, সেই সময়সীমা উল্লেখ করে এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার মামলাটি ওঠে হাই কোর্টে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা উন্নত করতে রাজ্যের অর্থ দফতর আগেই ৬৭ লক্ষ টাকার বেশি বরাদ্দ করেছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত কয়েক বছরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনার জেরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা, হস্টেলের নজরদারি এবং ক্যাম্পাসে সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই উঠছিল বিভিন্ন মহল থেকে। সেই কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য সরকারের দায়বদ্ধতা নিয়ে আদালতের এই নির্দেশ আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে যাদবপুরে বিতর্কের ইতিহাসও বেশ পুরোনো। ২০১০ সালে তৎকালীন উপাচার্য প্রদীপনারায়ণ ঘোষ প্রথমবার সিসিটিভি বসানোর উদ্যোগ নিলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রায় ১৬টি ক্যামেরা লাগানো হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছাত্রদের তীব্র প্রতিবাদের জেরে তাঁকে ৫২ ঘণ্টা ধরে ঘেরাও করতে হয় এবং পরে সেই ক্যামেরা খুলে ফেলা হয়। পরে ২০১৩ সালে সিসিটিভি-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লাগাতার আন্দোলনের ফলে পদত্যাগ করেন উপাচার্য সৌভিক ভট্টাচার্য। ২০১৪ সালে তৎকালীন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী অরবিন্দ ভবনে তাঁর অফিস ও করিডরে সিসিটিভি লাগালে ফের শুরু হয় প্রতিবাদ, যা ‘হোক কলরব’ আন্দোলন নামে পরিচিত হয়।

অনেকদিন ধরেই আটকে থাকা এই নিরাপত্তা উন্নয়ন প্রকল্প আদালতের নির্দেশে নতুন করে গতি পেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


Share