Abduction

পাঁচ গুজরাতিকে অপহরণ করার অভিযোগ, কলকাতা বিমানবন্দর এলাকা থেকে উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ

কাজের টোপ দিয়ে কানাডায় পাঠানোর কথা বলে অপহরণের অভিযোগ উঠল। পাঁচ জন অপহৃত গুজরাতিকে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ উদ্ধার করেছে।

কলকাতা বিমানবন্দর।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১০ জুলাই ২০২৫ ১২:১৬

পাঁচ জন গুজরাতিকে অপহরণের অভিযোগ উঠল কলকাতায়। কাজের জন্য তাদের কানাডায় পাঠিয়ে দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে মহিলা এবং শিশু রয়েছে। ফাঁদে পা দিয়েই বিপদে পড়েন তারা। টানা ছ’দিন তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বুধবার ওই পাঁচ জনকেই কলকাতা পুলিশ উদ্ধার করেছে। অভিযুক্তেরা পলাতক।

জানা গিয়েছে, বিশাল পটেল রজনীকান্ত নামের ২৬ বছর বয়সি এক যুবক রবীন্দ্রসরোবর থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন। তিনি জানান, তিনি তার বন্ধু যোগেশকুমার দাভি, তার স্ত্রী কাজলবেন, বোন, পুত্র এবং কন্যাকে নিয়ে গুজরাত থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। বিশাল গুজরাতের মেহসানা জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ‘অ্যাব্রড ড্রিম্‌স ইমিগ্রেশন’ নামের কলকাতার একটি ভ্রমণ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তারা। ওই সংস্থার মালিকের নাম অভিলাষ নায়েক।

অভিযোগকারীর দাবি, তাদের কানাডায় যাওয়ার নথিপত্র জোগাড় করে দেওয়ার কথা ছিল এই অভিলাষের। কলকাতায় এসে গুজরাতি পরিবার দু’টি প্রথমে বিমানবন্দরের সামনে ভিআইপি রোডের একটি হোটেলে উঠেছিল। পরে তারা রবীন্দ্রসরোবর থানা এলাকার অন্য একটি হোটেলে চলে যান।

অভিযোগকারী পুলিশকে জানিয়েছেন, তার সঙ্গে বাকি যে পাঁচ জন ছিলেন, তারা গত ৩ জুলাই আবার কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে আর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। দাবি, ৩ তারিখ রাতেই অভিযোগকারীকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করেন বন্ধু যোগেশ। জানান, তারা নিরাপদে আছেন। কিন্তু কোথায় আছেন, তা জানাননি। এর পরেই সন্দেহ হওয়ায় থানায় যান অভিযোগকারী।

অভিযোগের ভিত্তিতে রবীন্দ্রসরোবর থানার পুলিশ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে। শুরু হয় তদন্ত। বুধবার ওই অপহৃত পাঁচ জন গুজরাতিকে কলকাতা বিমানবন্দর এলাকা থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। অভিযুক্তদের খুঁজছে পুলিশ। কেন এবং কী ভাবে এই পাঁচ জনকে অপহরণ করা হল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুজরাতের এই বাসিন্দারা কেন কানাডায় যেতে চাইছিলেন, কী ধরনের কাজের টোপ তাঁদের দেওয়া হয়েছিল, কারও সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।


Share