ED Raid At Sujit Bose Office

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রীর সুজিত বসুর অফিসে ইডির আধিকারিককেরা, ১০টি যায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান

গত বছর এই মামলায় প্রথম চার্জশিট দেয় সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিতে কী ভাবে টাকা লেনদেন হত, সেই চার্জশিটে তার হদিস দিয়েছিল তারা। পাশাপাশি, কী ভাবে চাকরি পাওয়া যেত, তা-ও উল্লেখ করা হয়েছিল।

মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে চলছে ইডির তল্লাশি অভিযান।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১০ অক্টোবর ২০২৫ ১২:২১

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ফের সক্রিয় ইডি। শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতার অন্তত ১০টি জায়গায় তল্লাশি চলছে। সল্টলেক সেক্টর ওয়ানের একটি ভবনে তল্লাশি চলছে। ওই ভবনেই রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিস। জানা গিয়েছে, নাগেরবাজার এলাকায় দক্ষিণ দমদম পুরসভার তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্তের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চলছে। 

শুক্রবার সকাল থেকেই কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে শহরের নানা এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নামেন ইডির আধিকারিকেরা। প্রথমেই তাঁরা নাগেরবাজারে যান। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। সেক্টর ওয়ান এবং নাগেরবাজার ছাড়াও ঠনঠনিয়ার একটি বাড়িতেও গিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তল্লাশি চলছে শরৎ বোস রোড, নিউ আলিপুরের একাধিক ঠিকানাতেও।

গত ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তেই লেকটাউনে সুজিতের দু’টি বাড়ি এবং দফতরে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। প্রায় ১৪ ঘণ্টা তল্লাশির পর তদন্তকারীরা বেশ কিছু নথি এবং সুজিতের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে বেরিয়ে যান।

স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ব্যবসায়ী অয়ন শীলকে প্রথম গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে তাঁর সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালাতে গিয়ে বেশ কিছু ওএমআর শিট উদ্ধার করে। সেখান থেকেই পুরসভার নিয়োগেও দুর্নীতির হদিশ পান তদন্তকারীরা। অয়নের সংস্থা পুর নিয়োগের ক্ষেত্রে ওএমআরের দায়িত্বে ছিল বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে একে একে আরও অনেককে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। পরে এই মামলায় অবৈধ ভাবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তে নামে ইডিও। 

গত বছর এই মামলায় প্রথম চার্জশিট দেয় সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিতে কী ভাবে টাকা লেনদেন হত, সেই চার্জশিটে তার হদিস দিয়েছিল তারা। পাশাপাশি, কী ভাবে চাকরি পাওয়া যেত, তা-ও উল্লেখ করা হয়েছিল। সিবিআই চার্জশিটে দাবি করেছিল, অয়নের দুই এজেন্টের মাধ্যমে বেশ কয়েক জন চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে গড়ে ৫০ হাজার টাকা করে কমিশন নিয়েছিলেন অয়নের এজেন্টরা। অয়নের মাধ্যমে কলকাতা-সহ ১৬টি পুরসভায় অবৈধ ভাবে ভাবে অনেকে চাকরি পেয়েছেন বলে জানানো হয়।


Share