High Court

তিন হাজারের বেশি কর্মী নয়, বিজেপির ‘কসবা অভিযান’-এ শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট

বুধবার ২ জুলাই ‘কসবা অভিযান’-এর ডাক দিয়েছে বিজেপির যুব মোর্চা। মিছিল করতে চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তারা।

বিজেপির মিছিলে অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:০১ জুলাই ২০২৫ ০৯:০৪

কসবার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির যুব মোর্চা মিছিলে অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ শর্তসাপেক্ষে ‘কসবা অভিযান’-এর অনুমতি দিয়েছেন। ২ জুলাইয়ের সভায় তিন হাজার বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকেরা উপস্থিত থাকতে পারবে। বেলা ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। বুধবারের ব্যস্ত সময়ে যাতে সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা না হয় সেই দিকে নজর রাখবে কলকাতা পুলিশ।

ল কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপি ‘কসবা অভিযানে’র ডাক দেয়। সেই মিছিলের অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলাটি ওঠে। আজ, মঙ্গলবার বিচারপতি বিজেপির কর্মসূচিতে অনুমতি দিয়েছেন। পাশাপাশি বিজেপিকে কিছু শর্ত বেধে দেওয়া হয়েছে। ২ জুলাই বিজেপি তিন হাজার কর্মীদের নিয়ে মিছিল করতে পারবে। বেলা ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। মিছিল শেষে যেখানে সভা হবে। সেই সভামঞ্চের প্রস্থ এমন হতে হবে যাতে কোনও গাড়ি চলাচলের অসুবিধা না হয়। মিছিলের আয়োজকদেরই এটা সুনিশ্চিত করতে হবে।

হাই কোর্টের নির্দেশ, এই মিছিলের সামনে বিজেপি কর্মীরা যে প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন ব্যবহার করবেন, সেটা যেন আকারে বেশি বড় না হয়। প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুনের প্রস্থ যেন রাস্তার এক তৃতীয়াংশ-এর মধ্যে হতে হবে। মিছিল এবং সভার জন্য যেন রাস্তার এক তৃতীয়াংশ-এর বেশি জায়গা না নেওয়া হয়। সাধারণ মানুষের হাঁটাচলার জন্য যেন দুই তৃতীয়াংশ জায়গা খোলা থাকে। এই বিষয়ে নজর রাখবে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।

মঙ্গলবার বিজেপি হাই কোর্টে কালীঘাট থানা থেকে কসবা থানা পর্যন্ত মিছিল করার দাবি জানায়। হাই কোর্টের কাছে সেখানেই সভা করার অনুমতি চাওয়া হয়। রাজ্য সরকার এর বিরোধিতা করে। হাই কোর্ট জানায়, কসবার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডের মামলা চলছে। অভিযুক্তেরা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাই আদালত চায় না এই মিছিল কসবা থানায় শেষ হোক। তাই বিচারপতির নির্দেশ, কালীঘাট থানা থেকে মিছিল শুরু হবে। কসবা থানার থেকে দূরে ‘সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে’র বিপরীতে মিছিল শেষ করতে হবে। সেখানেই সভা করতে হবে।

এ ছাড়াও মিছিলের আয়োজকদের ফোন নম্বর সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। কোনও রকম অশান্তি সৃষ্টি করা যাবে না। সরকারি কর্মচারীদের ওপর আক্রমণ করা যাবে না। মিছিলে অংশগ্রহণকারী কর্মীরা সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের সামনের অথবা কসবা থানার সামনে যদি ব্যারিকেড দেওয়া হয় সেই ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করতে পারবেন না। যদি করা হয় তাহলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।


Share