ATM Fraud

যাদবপুরের এটিএমে লাগানো হয়েছিল ‘পিনহোল ক্যামেরা’, ফোনে ১৩ বার ওটিপি আদানপ্রদান প্রতারকদের সঙ্গে, দাবি লালবাজারের

এটিএমের মধ্যেই ছিল প্রতারকদের ছোট ক্যামেরা। সেখানেই ক্যামেরাতেই এটিএম কার্ডের পিন নম্বর রেকর্ড করা হয়েছে। আজ, সোমবার এমনটাই জানিয়েছে লালবাজার।

এখন কলকাতা ডেস্ক: কলকাতা
- নিজস্ব চিত্র
  • শেষ আপডেট:১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:০০

কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের পাশের এটিএম জালিয়াতির শিকার হয়েছিলেন দু’জন গ্রাহক। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই নির্দিষ্ট এটিএমের সামনে একটি ছোট ক্যামেরা লাগিয়ে রেখে গিয়েছিল প্রতারকেরা। সেই ক্যামেরা থেকেই গ্রাহকদের এটিএম পিন জেনে গিয়েছিল তাঁরা। পুলিশের আরও দাবি, এটিএমের সামনে যে হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে, সেই জায়গায় নিজেরদের মোবাইল নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কার্ড বেরোচ্ছে না দেখে ওই নম্বরে ফোন করে গ্রাহকরা। একাধিক বার ফোনেই ওটিপি দিয়ে দেন গ্রাহকরা। এর ফলেই টাকা হাতিয়ে নিতে পেরেছে প্রতারকরা। পাশাপাশি এটিএমের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা।? 

গত শনিবার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার যাদবপুর স্টেডিয়াম শাখার এটিএমে টাকা তুলতে গিয়ে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছিলেন দুই গ্রাহক। তাঁদের অভিযোগ ছিল, তাঁরা ওই এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে কার্ড মেশিনের মধ্যেই আটকে যায়। চেষ্টা করেও তা বের করতে না পারায় হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন। হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে ব্যাঙ্কের তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, তাঁরা যে হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে সেই নম্বরটি এটিএমের সামনেই লেখা ছিল। কিন্তু সেটা স্টেট ব্যাঙ্কের হেল্পলাইন ছিল না। সেটা কোনও ব্যক্তির মোবাইল নম্বর। পুলিশের দাবি, ওই নম্বরে ফোন করে কোনও গ্রাহক ১৩ বার কোনও গ্রাহক তিন বার ফোনে ওটিপি এবং কার্ডের পিন নম্বর বলে দেয়। ওই সময়ের মধ্যেই ওই এটিএম থেকেই নগদ টাকা বের করে চম্পট দেয়।? 

কার্ড একবার মেশিনে ঢোকানোর পর তা বের করতে পারেনি বলে অভিযোগ ওঠে। সে ক্ষেত্রে লালবাজারের দাবি, এটিএম কার্ডের জায়গায় আঁঠা লাগিয়ে দিয়েছিল প্রতারকেরা। সে ক্ষেত্রে একটি বিশেষ টেপ ব্যবহার করেছিল। এ ভাবে এটিএমের ভিতরে ঢুকে মেশিনের মধ্যে আঁঠা লাগিয়ে সংঘটিত প্রতারণা কীভাবে করল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আজ, সোমবার লালবাজার জানিয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীহীন ব্যাঙ্কের এটিএমগুলিতে নিরাপত্তা কীভাবে বাড়ানো যায়, তা জানানো হয়েছে। ব্যাঙ্কের নোডাল অফিসারদের সেই মর্মে ইমেলও করেছে লালবাজার।? 

উল্লেখ্য, যাদবপুরের ওই এটিএমে সিসিটিভি ক্যামেরা কাজ করছিল। সেই সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি যে মোবাইল নম্বরে ফোন করা হয়েছিল, তার টাওয়ারের অবস্থান কোথায় ছিল তা-ও জানার চেষ্টা করছে লালবাজারের গোয়েন্দারা।? 


Share