Kolkata Police

‘সেনা বনাম পুলিশ নয়, এটা সামান‍্য ঘটনা’, সেনার গাড়ির আটকানো নিয়ে জানালো লালবাজার

লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠক করেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) ওয়াই শ্রীকান্ত জগন্নাথ রাও। চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) শ্রীকান্ত জগন্নাথ রাও।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৭

মঙ্গলবার সকালে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সামনে সেনাবাহিনীর একটি ট্রাককে আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ। সেই সময় কলকাতা পুলিশের কমিশনার (সিপি) মনোজ বর্মার গাড়ি লালবাজারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। সেই ঘটনা নিয়ে লালবাজার বলল, এতে সেনা বনাম পুলিশের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা একটা নিছক ঘটনা। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাই ব‍্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ দিন এই বিষয় নিয়ে লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠক করেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) ওয়াই শ্রীকান্ত জগন্নাথ রাও। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন‍্যায় সংহিতার ২৮১ ধারায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) শ্রীকান্ত জগন্নাথ রাও জানিয়েছেন, একটি সেনাবাহিনীর ট্রাক পাসপোর্ট অফিসের যাওয়ার কথা। কিন্তু ট্রাকটি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মিউজিয়ামে থেকে ডান দিকে লেনে ঢুকে পরেছে। এর পরেই সিগন‍্যালে এসে ডান দিকে বাঁক নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেই রাস্তা দিয়ে ডান দিকে যাওয়ার নিয়ম নেই। এর ফলে ট্রাকটি ট্রাফিকের আইন লঙ্ঘন করছে। তিনি জানিয়েছেন, এই জন‍্য পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। হেয়ার স্ট্রিট থানার চালকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে।

সকালের ঘটনাটি যে নিছক একটা ঘটনা তা-ও তিনি স্পষ্ট করেছেন। তাঁর মতে, এটা কোনও পুলিশ বনাম সেনা নয়। তিনি বলেছেন, “বিষয়টি এ রকম হওয়া উচিত নয়, যে এটা পুলিশ বনাম সেনা।” তবে  শহরের ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে গাড়ি চালানো কারোর ক্ষেত্রেই বরদাস্ত করা হবে না, তা-ও ডিসি শ্রীকান্ত জগন্নাথ রাও জানিয়ে দিয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, সেনার আধিকারিকরা যখন রাস্তায় বার হন, তখন তাঁরা যাতে অবাধে যেতে পারেন, সেই ব‍্যবস্থাও ট্রাফিকই করে থাকে। এ ক্ষেত্রে শুধু ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি দেখা হয়। শ্রীকান্ত বলেন, “এটা ট্রাফিক সুরক্ষার বিষয়। রাজনীতির নয়।” এর পরেই তিনি জানান, “সেনাবাহিনীর গাড়ির বিশেষ রেজিস্ট্রেশন থাকে। তাতে ব‍্যবস্থা নেওয়া যায় না।” তবে এ ক্ষেত্রে চালকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ, মঙ্গলবার রাইটার্স বিল্ডিংয়ের কাছে একটি সেনার ট্রাক আটকায় পুলিশ। সেই সময় ঠিক পিছনেই ছিল কলকাতা পুলিশের কমিশনার (সিপি) মনোজ বর্মার গাড়ি। পুলিশের দেওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সেনার ট্রাকটি ডান দিকে বাঁক নেওয়ার চেষ্টা করছে। সিপির গাড়িও আরও ডান দিকে চাপার চেষ্টা করছে। বারাত জোরে রক্ষা পান সিপি মনোজ বর্মা। তবে পুলিশ কমিশনারের গাড়ি যখন রাস্তায় বার হয়, তখন তাঁর সঙ্গে কনভয় থাকে না। তিনি যদি কোনও অনুষ্ঠানে যান, তখনই তাঁর সঙ্গে একটা পাইলট মোটরবাইক থাকে। দফতর বা বাড়ি থেকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সে রকম কিছু থাকে না বলেই জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) ওয়াই শ্রীকান্ত জগন্নাথ রাও।


Share