A Murder Case Has Been Filed In Jadavpur Police Station

অনামিকা মন্ডলকে খুন করা হয়েছে,’ যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃতা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করল পুলিশ, শুরু হল তদন্ত

গত বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে অনুষ্ঠান চলাকালীন ইউনিয়ন রুমের সামনে একটি পুকুর থেকে অনামিকা মন্ডল নামে ইংরেজি বিভাগের ছাত্রীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:২৮

যাদবপুরের ইংরেজি বিভাগে ছাত্রী অনামিকা মন্ডল জলে ডুবে মৃত্যু হয়নি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁর পরিবার। এ বার পরিবারের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে যাদবপুর থানার পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, অজ্ঞাত পরিচয়ে ব‍্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় ন‍্যায় সংহিতার খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ছাত্রীর বাবা-মা লালবাজারে যান। সেখানে তাঁরা কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মার সঙ্গে দেখা করেন। মৃতার বাবা বলেন, “আমি এবং আমার স্ত্রী সিপির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। অনেক ক্ষন কথা হয়েছে। আমরা আমাদের অভিযোগ সিপিকে জানিয়েছি।” এ দিন অনামিকার বাবা অর্ণব মন্ডল আরও জানান, “সিপি আশ্বাস দিয়েছেন, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তের স্বার্থে যা যা করা দরকার, সমস্ত পদক্ষেপ করা হবে।” এর পরেই তাঁরা যাদবপুর থানায় যান। সেখানেই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে অনুষ্ঠান চলাকালীন ইউনিয়ন রুমের সামনে একটি পুকুর থেকে অনামিকা মন্ডল নামে ইংরেজি বিভাগের ছাত্রীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অনামিকা মন্ডলের ময়নাতদন্ত হয়। তাতে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে অনামিকার। পরের দিন ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিকের একটি দলও। নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। 

পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, অনামিকাকে খুন করা হয়েছে, তার প্রমাণ আপাতত মেলেনি। মেলেনি আঘাতের কোনও চিহ্ন। যদিও পরিবারের দাবি, অনামিকার একটি হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পরে বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। তবে কাদেরকে ডাকা হয়েছিল, সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট করে জানায়নি লালবাজার। এই বিষয়ে লালবাজারের এক পুলিশকর্তা জানান, “তদন্ত চলছে। লালবাজারের হোমিসাইড শাখা এর তদন্ত করছে।”

প্রসঙ্গত, মৃত ছাত্রীর বাবা অর্ণব মণ্ডল অভিযোগ করেন, “মেয়ে এমনি জলে পড়েনি। মেয়েকে কিছু খাইয়ে জলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হতে পারে।” মৃতার বাবা এ-ও দাবি করেন, “আমার মেয়ে সাঁতার জানত না, তা ওঁর বন্ধুরা জানত। এমন কাজ একজন করেছে বলে মনে হয় না। আক্রোশের কারণে কেউ ওকে ধাক্কা দিয়ে জলে ফেলতে পারে।” বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব বলেও জানিয়েছিলেন অনামিকার বাবা।


Share