Kolkata Fire

চলন্ত সরকারি বাসে লাগল আগুন, মুহূর্তের মধ্যে ভস্মীভূত বাস, চাঞ্চল্য কলেজ স্ট্রিটে

কলেজ স্ট্রিটে চলন্ত বাসে ভয়াবহ আগুন। ঘটনাস্থলে দমকলের দুটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকল দেরিতে এসেছে অভিযোগ স্থানীয়দের। কেউ জখম বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কলেজ স্ট্রিটে এই বাসেই এ দিন বিকেলে আগুন লাগে।
এখন কলকাতা ডেস্ক, কলকাতা
- নিজস্ব চিত্র
  • শেষ আপডেট:১৫ মার্চ ২০২৫ ১২:০০

কলেজ স্ট্রিটে চলন্ত সরকারি বাসে ভয়াবহ আগুন। ঘটনাস্থলে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার বিকেলে মেডিক্যাল কলেজের সামনে একটি পুরনো সরকারি বাসে আগুন লাগে। বাসে আগুন লেগেছে বুঝতে পেয়েই বাসে থাকা যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।? 

এ দিন বাসটি হাওড়া থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত আসছিল। আজ, বিকেল চারটে ৩৫ মিনিট নাগাদ বাসটি মেডিক্যাল কলেজের ১ নম্বর গেটের কাছে কলেজ স্ট্রিট-কলুটোলা ক্রসিংয়ে সিগন্যালে দাঁড়ায়। তখনই গাড়ির নিচে কিছুভাবে আগুন ধরে। রাস্তায় থাকা পথচারীদের আগুন নজরে আসতেই হইচই শুরু হয়ে যায়। বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীদের। জানা গিয়েছে, ওই বাসে ১৫ জন যাত্রী ছিলেন। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানেই গাড়িটি আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। ভস্মীভূত হয় গাড়িটি। রাস্তার পাশের একটি দোকানদার নিজের দোকানের দু’টি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র বের করে আগুন নেভানোর চেষ্টাও করেন।? 

রাস্তায় থাকা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা দমকলে খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। জানা গিয়েছে, একটি ইঞ্জিন আসে টেরিটি বাজার থেকে ওপর একটি ইঞ্জিন আসে সেন্ট্রাল এভিনিউ থেকে। এ দিকে দমকল দেরিতে আসারও অভিযোগ করেছে তাঁরা। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমি সামনেই দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম। আচমকাই বাসটিতে আগুন ধরে। দমকলের অফিস সামনেই। তাও প্রায় আধ ঘণ্টা দেরিতে এসেছে।” যদিও এ দিনের ঘটনায় কেউ জখম বা হতাহত হননি।? 

কর্তব্যরত দমকল আধিকারিক সুদীপ মালাকার বলেন, “আমরা এসে দেখেছি পুরোটা পুড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা সক্ষম হয়েছি। জায়গাটা একটু ঘিঞ্জি হওয়ায় কাজ করতে একটু অসুবিধা হয়েছে।” তবে তিনি দমকল দেরিতে আসার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। সুদীপ বলেন, “আমরা প্রথমে সঠিক ঠিকানা খুঁজে না পেয়ে ঘুরে আসতে হয়েছে। তাই একটু সময় লাগছে।”? 

এ দিকে ফের পুরনোসরকারি বাসে আগুন লাগায়, বাসের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সাধারণ যাত্রীরা। ওই বাসের এক যাত্রী বলেন, “এই ভাবে যদি চলন্ত বাসে আগুন লেগে গেলে প্রাণ সংশয় হতে পারত। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছি। সরকারের এ বিষয়ে ভাবা উচিত।”? 


Share