Digital Arrest

ইডির গ্রেপ্তারির নামে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট'! ১৭ লক্ষ টাকা খুইয়ে থানার পুলিশের দ্বারস্থ গোলপার্কের দম্পতি

পুলিশ আধিকারিক সেজে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। এ বার ইডি আধিকারিক পরিচয়ে সাইবার প্রতারণার শিকার হলেন গোলপার্কের বাসিন্দা শুভাশিস রায়। অভিযোগ, তাঁর থেকে ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকেরা। গোলপার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

ডিজিটাল অ্যারেস্ট।
এখন কলকাতা ডেস্ক: কলকাতা
-প্রতীকী ছবি।
  • শেষ আপডেট:২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০০

শহরে ফের ডিজিটাল অ্যারেস্টের শিকার হলেন এক দম্পতি। এ বার গোলপার্কের বাসিন্দা শুভাশিস রায় এবং তাঁর স্ত্রী চন্দ্রাকে বোকা বানিয়ে সাইবার অপরাধীরা ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে বলে অভিযোগ। শুভাশিসের অভিযোগ, তিনি আর্থিক প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত। তাঁর নামে ইডির অ‍্যারেস্ট বেরিয়েছে। এই ভয় দেখিয়েই তাঁর থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।? 

জানা গিয়েছে, শুভাশিস একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। ২০২১-এ গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই তিনি কাজ ছেড়ে দিয়ে ছিলেন। তার পর থেকেই সারা জীবনের সঞ্চয়ের টাকাতেই দম্পতির সংসার চলছিল। সাইবার অপরাধীদের ফোনে সেই সঞ্চয় খুইয়ে এখন তাঁদের পথে বসার অবস্থা।? 

শুভাশিসের দাবি, কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি ফোন করেছিলেন। প্রতারকরা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের দিল্লির হেডকোয়ার্টার থেকে ফোন করছে বলে দাবি করে। দম্পতি ব্যক্তির বক্তব্য, 'আপনার নামে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু হয়েছিল। এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা সেখান থেকে খরচ করেছেন। দিল্লি পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশকে তথ্য দিতে হবে।' এর পরেই প্রতারকদের ভিডিয়ো কল করে ওই দম্পতিকে। তিনি দেখেন, একটি ঘরের ভিতরে দিল্লি পুলিশের পোশাক পরে কয়েক জন বসে রয়েছেন। তার পরেই শুভাশিসকে বলা হয়, ইডি-র অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট বেরিয়েছে। এখনই আধার কার্ডের ছবি তুলে পাঠাতে হবে। ঘাবড়ে গিয়ে ওই দম্পতি আধারের ছবি তুলেও পাঠিয়ে দেন। আধার কার্ড পাঠানোর এক ঘণ্টা পরে শুভাশিসের মোবাইলে ইডি-র নামে একটি নোটিস আসে। প্রায় আড়াই কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণার মামলায় ওই নোটিসে শুভাশিসকে গ্রেপ্তার করা হবে তাতে লেখা রয়েছে বলে দাবি করেছেন শুভাশিস।? 

শুভাশিস ভিডিয়ো কলে বারে বারে জানান, তিনি জড়িত নন। কিন্তু চাপে পড়ে তাঁকে ব্যাঙ্কের সব নথিপত্র পাঠাতে হয়। এর পর ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে মোট ১৭ লক্ষ টাকা পাঠাতে বাধ্য হন ওই দম্পতি। পরে সে বুঝতে পারেন, সাইবার অপরাধীদের ফাঁদে পড়েছেন। গড়িয়াহাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন শুভাশিস। আপাতত সাড়ে তিন লাখ টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন, কোন কোন ব‍্যাঙ্কে টাকা লেনদেন হয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে কলকাতা পুলিশ।? 


Share