বেলঘরিয়ায় তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, আরও দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তাঁদের দেখা গিয়েছে। অভিযুক্তেরা প্রত্যেকেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গী।?
আজ, বুধবার সকালে বেলঘরিয়ার রাজীবনগর এলাকায় রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় রেহান খান নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ। তিনি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের ‘ছায়াসঙ্গী’ হিসাবেও পরিচিত ছিলেন। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাছে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসেছিলেন রেহান। সেই সময়েই কেউ বা কারা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। একটি গুলি রেহানের ঘাড়ে এসে লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সারা রাত রাস্তায় পড়েছিলেন তিনি। সকালে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে?
এই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ সুশান্ত, অভীক এবং রিজুকে গ্রেফতার করেছে। আটক করা হয়েছে অপু এবং সৌমিত্র নামের আরও দু’জনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মঙ্গলবার রাতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃতদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদ ছিল রেহানের। তবে রেহানের মতো তাঁরাও কাউন্সিলর দেবযানীর সঙ্গে থাকতেন। রেহানের মৃত্যুর খবর পেয়ে কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে যান। তাঁর দাবি, ‘‘পুলিশের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তদন্তের পর জানা যাবে কারা খুন করেছেন। দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক।’’?
মৃতের পরিবার আঙুল তুলেছে সুশান্তের দিকে। তাঁদের দাবি, আগেও তাঁর সঙ্গে রেহানের ঝামেলা হয়েছিল। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই রেহানের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল সুশান্তের। প্রায় ছ’মাস আগে রেহানের মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন সুশান্ত। তার ছ’মাসের মাথায় খুন হলেন রেহান।?
Share