রাত পোহালেই রথযাত্রা। তাই সেজে উঠেছে মাহেশ।
শ্রীরামপুরের মাহেশের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা বিশ্ব বিখ্যাত। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু থেকে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এসেছেন এই রথযাত্রায়। সাধক ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী যে উৎসবের সূচনা করেছিলেন এ বার সেই রথযাত্রা ৬২৯ বর্ষপূর্তি পালন করবে। তার প্রস্তুতি পর্ব চূড়ান্ত।
মার্টিন বার্ন কোম্পানির তৈরি লোহার রথ টানা হবে কাল বিকালে তিথি মেনে। তার আগে সকাল থেকে জগন্নাথ মন্দিরে চলবে পুজোপাঠ। গর্ভগৃহ থেকে বেরিয়ে এসে জগন্নাথ ভক্তদের দর্শন দেবেন সকাল আটটায়। রীতি অনুযায়ী স্নানযাত্রা উৎসবের পর জগন্নাথের ধুম জ্বর আসে। লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন। সেই সময়কালে গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ থাকে। ভক্তদের দেখা দেন না জগন্নাথ। এই সময়কে বলা হয় অনবসর।অনবসর কাটিয়ে কবিরাজের পাঁচন খেয়ে তাঁর জ্বর সারে।
তারপর হয় নবযৌবন উৎসব। পুরীর জগন্নাথের হয় নব কলেবর। মাহেশে হয় নবযৌবন। গতকাল সেই নবযৌবন পালিত হয়েছে। এ দিন জগন্নাথদেবকে রাজবেশে দেখা যায়।অলঙ্কারে সজ্জিত করা হয়। এদিনই হাত দেখা যায় তার।মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য। আগামী কাল দুপুরে হবে দামোদর। তারপর প্রথমে নারায়ণ শিলা। একে একে সুভদ্রা, বলরাম ও জগন্নাথদেব রথে উঠবেন। বিকাল চারটে নাগাদ মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে রথ।
মাহেশের রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে মেলা বসে স্নান পিড়ির মাঠে।রথের দড়ি ছুঁতে বহু ভক্তের সমাগম হয়। যে কারনে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
Share