উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে অশান্তির ঘটনায় প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল ব্যারাকপুর আদালত। জানা গিয়েছে, পুলিশ অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন। পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। তবে আপাতত অর্জুন সিংহ রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। অর্জুন জানিয়েছেন, তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।?
গত ২৬ মার্চ রাতে অর্জুনের বাড়ির সামনে গুলি-বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মজদুর ভবনের সামনে। জগদ্দলে মেঘনা মোড়ে মজদুর ভবনের সামনে সেদিনের ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন নামে এক জন জখম হন। তৃণমূলের দাবি, জখম হওয়া যুবক তাদের দলের কর্মী। অর্জুন সিংহ নিজেই তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছেন।?
ওই ঘটনার তদন্তে নেমে জগদ্দল থানার পুলিশ পরের দিন সকালে অর্জুন সিংহকে তলব করে। যদিও বিজেপি নেতা থানায় হাজিরা দেননি। তৃণমূলের তোলা যাবতীয় অভিযোগও অস্বীকার করেছেন। আজ, মঙ্গলবার তারা বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আর্জি নিয়ে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে যায়। ব্যারাকপুর আদালতের বিচারক মনিকা চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে শুনানি হয়। এ বার আদালতও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে।?
বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ বলেন, ‘‘আমি সকালবেলায় হাই কোর্টে মামলা করেছি। পুলিশ আমার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল। ওই এফআইআর ভুয়ো। তা ছাড়া এই কোর্টের (ব্যারাকপুর নিম্ন আদালত) উপর তো আমার ভরসা ছিল না। তাই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছি। আইনি লড়াইয়ের জন্য আমি প্রস্তুত।’’ পাশাপাশি অর্জুনের অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে শাসকদল। এই মামলাও তেমনই একটি।?
জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অর্জুনকে। তাঁর অভিযোগ, এমন অনেক অপরাধ করেও কোনও না কোনও ভাবে পার পেয়েছেন অর্জুন সিংহ। এ বার প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ করছে। সোমনাথ আরও বলেন, ‘‘অর্জুন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছেন, তা সাদ্দাম নিজের চোখে দেখেছেন। পুলিশকে আমরা সেই কথা জানিয়েছিলাম। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। সিসিটিভি-তে দেখা যাচ্ছে, অর্জুন দৌড়ে যাচ্ছেন। উনি গুলি চালিয়েছেন, সেটা প্রমাণিত। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করছে আদালত।’’ উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।?
Share
