SSC Examination

একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকের জন্য কারা দেবেন ইন্টারভিউ? যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে এই খবর নিশ্চিত করেছেন। তাঁর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গ সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদে আবেদনকারীদের বিস্তৃত তথ্যসহ সাক্ষাৎকার-যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে।”

ইন্টারভিউ কারা দেবেন, তার তালিকা প্রকাশ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ০১:২৮

চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা এবং ৭ নভেম্বর ফলাফল প্রকাশ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার পর আজ কমিশনের নতুন অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে ইন্টারভিউ-যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা। শীঘ্রই শুরু হচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ—নথিপত্র যাচাই। শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে নথিপত্র যাচাই।

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে এই খবর নিশ্চিত করেছেন। তাঁর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গ সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদে আবেদনকারীদের বিস্তৃত তথ্যসহ সাক্ষাৎকার-যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে। নথিপত্র যাচাই শুরু হবে ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে—যা আমাদের স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ নিয়োগপ্রক্রিয়ার আরেকটি প্রতিশ্রুতি।”

তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যেই নিয়োগ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে দফতর। ফলে যোগ্য প্রার্থীদের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

পরীক্ষা ও অংশগ্রহণের পরিসংখ্যান ৬০ নম্বরের মোট ৩৫টি বিষয়ে চলতি বছর পরীক্ষা দেন দু’লক্ষ ২৯ হাজার ৬০৬ জন প্রার্থী। রাজ্যজুড়ে ৪৭৮টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় পরীক্ষা। এই পর্যায়ে আবেদন করেছিলেন মোট দু’লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৪৩ জন, যাদের মধ্যে তিন হাজার ১২০ জন বিশেষভাবে সক্ষম। উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৯৩ শতাংশ।

নিয়ম অনুযায়ী, ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নথি যাচাই। এরপরই প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ইন্টারভিউ তালিকা। প্রথম দফায় ইন্টারভিউ নেওয়া হবে একাদশ–দ্বাদশ স্তরের প্রার্থীদের। এই স্তরে শূন্যপদ রয়েছে ১২ হাজার ৫১৪টি।

কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি ১০০টি শূন্যপদের জন্য ইন্টারভিউর ডাক পাবেন ১৬০ জন প্রার্থী। সে হিসেবে ৩৫ হাজার ৭২৬টি শূন্যপদের বিপরীতে ডাকা হতে পারে প্রায় ৬০ হাজার আবেদনকারীকে।

সম্প্রতি এসএসসি জানিয়েছে, মোট শূন্যপদ কমেছে ৬৯টি। অর্থাৎ ১২,৫১৪-এর জায়গায় এখন শূন্যপদ দাঁড়িয়েছে ১২,৪৪৫। কেন কমল পদসংখ্যা—তা নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।

সূত্রের দাবি, শিক্ষা দফতরের পাঠানো প্রাথমিক তালিকার উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা হলেও, ইন্টারভিউ-র আগে শূন্যপদ পুনর্গণনা করে দেখা যায় কিছু পদ আর খালি নেই। ফলে আপডেটেড তালিকায় পদ কমে যায়। তবে শূন্যপদ হ্রাসের বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো সরকারি ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

শিক্ষামহলের একাংশের মতে, স্কুল পুনর্বিন্যাস বা প্রশাসনিক কারণে পদ সংখ্যা কমতে পারে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এমন পরিবর্তন নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।

মূলত, ইন্টারভিউ-যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে শিক্ষক নিয়োগে বড় পদক্ষেপ নিল এসএসসি। এখন নজর থাকবে নথিপত্র যাচাই পর্ব এবং চূড়ান্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার দিকে।


Share