Raj Bhawan

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের ‘বোমা’ মন্তব্যে তুঙ্গে রাজ্যপাল–তৃণমূল সংঘাত, রাজভবনে বম্ব স্কোয়াডের তল্লাশি

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের ‘বোমা’ মন্তব্যে তুঙ্গে উত্তেজনা। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ভোরে রাজভবনে বম্ব স্কোয়াডের তল্লাশি। রাজ্যপাল–তৃণমূল সংঘাত চরমে, নজর তদন্তের ফলাফলে।

রাজভবন
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৫:৩৮

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে চরম উত্তেজনা। সোমবার রাজভবনে হাজির হল বম্ব স্কোয়াড, সিআরপিএফ ও কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। সাংসদের অভিযোগ—রাজভবনের অন্দরে ‘বোমা-বন্দুক মজুত’—এর সত্যতা যাচাই করতেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নির্দেশ দেন যৌথ তল্লাশির।

ঘটনাটির সূত্রপাত হয় শনিবার চুঁচুড়ায় তৃণমূলের লিগ্যাল সেলের বৈঠকে উপস্থিত হয়ে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বিস্ফোরক দাবিতে। তিনি অভিযোগ করেন, “রাজভবনে ক্রিমিনাল ঢোকাচ্ছেন রাজ্যপাল। সবার হাতে বন্দুক-বোমা দিচ্ছেন। বলছেন তৃণমূলকে মেরে এসো।” রাজ্যপালের ‘ব্যালটে ভোট, বুলেটে নয়’ মন্তব্যকেও কটাক্ষ করেন তিনি। এর পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।

রবিবার রাজভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোমবার ভোর ৫টা থেকে সীমিত সংখ্যক সাংসদ, সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের জন্য রাজভবন খোলা থাকবে—যাতে তাঁরা নিজের চোখে দেখে নিতে পারেন অভিযোগের কোনও ভিত্তি আছে কি না। পাশাপাশি জানানো হয়, অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

রাজ্যপাল বক্তব্যে অভিযোগ করেন—একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এটি ‘কুরুচিকর ও ফৌজদারি আক্রমণ’। তিনি নির্দেশ দেন, পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করতে এবং প্রয়োজনে আরও আইনি ব্যবস্থা নিতে।

এফআইআর-এর পর আরও ক্ষুব্ধ হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত লড়াই করবেন। এমনকি রাজ্যপালকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছোড়েন কল্যাণ। 

সোমবার নির্ধারিত সময়সীমা পেরোতেই রাজভবনে ঢোকে বম্ব স্কোয়াড। শুরু হয় সূক্ষ্ম তল্লাশি। রাজভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়— “অভিযোগ ভিত্তিহীন। সত্য সামনে আসবেই।”

রাজ্য–রাজনীতিতে রাজ্যপাল ও তৃণমূলের সংঘাত নতুন নয়। তবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বোমা’ মন্তব্য সরাসরি রাজভবনের ভিতরে তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে পৌঁছে দিল। এখন নজর, তল্লাশিতে কী বেরিয়ে আসে।


Share