Supreme Court

এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট, অগস্ট পর্যন্ত বেতন পাবেন ‘যোগ্য’ শিক্ষকেরা

আগামী ৩১ অগস্ট পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই সময়সীমা পর্যন্ত ‘যোগ্য’ শিক্ষকেরা স্কুলে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন এবং বেতনও পাবেন।

সুপ্রিম কোর্ট
নিজস্ব সংবাদদাতা, দিল্লি
  • শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৪:৩০

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়সীমা আরও বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট। আগে নির্ধারিত ৩১ ডিসেম্বরের বদলে আগামী ৩১ অগস্ট পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে ওই সময়সীমা পর্যন্ত ‘যোগ্য’ শিক্ষকেরা স্কুলে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন এবং বেতনও পাবেন।

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সেই সময় পর্যন্ত যোগ্য শিক্ষকেরা কর্মরত থাকতে পারবেন। তবে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানায় রাজ্য সরকার, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই আদালত এ বার সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

এই বিষয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য, এসএসসি এবং বোর্ড ছিল। আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করে নিয়ে এসেছি। একাদশ-দ্বাদশের বাছাই প্রক্রিয়ায় ৭ জানুয়ারি আমরা চূড়ান্ত রেজ়াল্ট পাবলিশ করে দেব। ১৫ জানুয়ারি থেকে কাউন্সেলিং শুরু করে দেব। নবম-দশমের ক্ষেত্রে বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হবে মার্চ মাসের মাঝামাঝি। তার পরে কাউন্সেলিং হবে। তাই অগস্টের শেষ পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন জানানো হয়েছিল।”

তিনি আরও জানান, ওই আবেদনের ভিত্তিতে অগস্ট মাস পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যাঁরা দাগি নন, এমন শিক্ষকেরা আগামী অগস্ট মাস পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর সমাজমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এক্স-এ তিনি লেখেন, ‘সর্বোচ্চ আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়া ৩১ অগস্টের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন যা আমাদের রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঠিক দিক নির্দেশের প্রতি আস্থার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই সময়সীমার মধ্যে আগের শিক্ষকরা আগের মতোই কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের এই নির্দেশে পরিষ্কার ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতার সঠিক পথেই এগোচ্ছেন।’

অন্য দিকে, ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের প্রতিনিধি মেহবুব মণ্ডল জানান, সময়সীমা বৃদ্ধিকে তাঁরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। সময় না বাড়লে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত বহু শিক্ষক বেতনহীন হয়ে পড়তেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

আর এক প্রতিনিধি চিন্ময় মণ্ডল জানান, এই সিদ্ধান্ত সাময়িক স্বস্তি দিল। তাঁর বক্তব্য, ৩১ ডিসেম্বরের পরে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত। আদালত সময়সীমা বৃদ্ধি করার ফলে সেটি হল না। চিন্ময় বলেন, “আমরা চাই চাকরির স্থায়িত্ব। আমরা নির্দোষ। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কারণে আমাদের চাকরি গিয়েছে। ‘যোগ্য’ হয়ে‌ও যাঁরা নথি যাচাইয়ে ডাক পেলেন না, তাঁদের আইন মেনে নিয়োগের ব্যবস্থা করুক সরকার। এক জন ‘যোগ্য’ও যেন বঞ্চিত না হন।”


Share