Special Intensive Revision

ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে স্পষ্ট বার্তা নির্বাচন কমিশনের, খসড়া তালিকায় নাম থাকা মানেই চূড়ান্ত নয়

নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কোনও প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এটি এলিমিনেশনের পর্যায় নয়, বরং একটি প্রাথমিক ধাপ মাত্র। খসড়া তালিকায় ডুপ্লিকেট বা দ্বৈত নাম থাকা নিয়ে ওঠা প্রশ্নেরও ব্যাখ্যা দেন নির্বাচন কমিশন।

সাংবাদিক বৈঠকে সিইও মনোজ আগওয়াল
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৩৯

ভোটার তালিকা সংশোধন ও খসড়া তালিকা প্রকাশ ঘিরে ওঠা বিতর্কের মধ্যেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কোনও প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এটি এলিমিনেশনের পর্যায় নয়, বরং একটি প্রাথমিক ধাপ মাত্র।

জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২৭ অক্টোবর যাঁরা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই আইনগত অধিকার ছিল এনুমারেশন ফর্ম পাওয়ার। সেই ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ করে সাক্ষর করে ফেরত দিলে, তাঁদের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক নিয়ম। এই পর্যায়ে কে কোন দেশ থেকে এসেছে তিনি বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, শ্রীলঙ্কান বা অন্য কোনও দেশের নাগরিক কি না তা যাচাই করা হচ্ছে না বলেই স্পষ্ট করেন তিনি। সিইও জানান, এটা লুকআউটের স্টেজ নয়, পরবর্তী ধাপে বিষয়গুলি দেখা হবে।

খসড়া তালিকায় ডুপ্লিকেট বা দ্বৈত নাম থাকা নিয়ে ওঠা প্রশ্নেরও ব্যাখ্যা দেন নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনা দু’ভাবে ঘটতে পারে। প্রথমত, কোনও ব্যক্তি যদি জেনেশুনে দু’টি ঠিকানায় বা দু’টি কেন্দ্রে ফর্ম পূরণ করেন এবং ভুল তথ্য দেন, তাহলে তা সেকশন ৩১ অনুযায়ী একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

অন্যদিকে, এমনও হতে পারে যে কোনও ভোটারের অজান্তেই অন্য কেউ তাঁর হয়ে দ্বিতীয় ফর্ম পূরণ করে দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। কমিশনের কাছে অভিযোগ এলে অথবা ইসিআই কিংবা অভ্যন্তরীণ সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্য সামনে এলে তদন্ত শুরু হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হবে বা বিএলও পাঠিয়ে যাচাই করা হবে দ্বিতীয় ফর্মটি তিনি নিজে পূরণ করেছেন, নাকি অন্য কেউ তা করেছেন।

এ প্রসঙ্গে বিএলও-দের ভূমিকা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন ওই আধিকারিক। তিনি জানান, প্রতিটি ফর্ম বিএলও ভেরিফাই করার পরেই তাঁদের নিজস্ব অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড হয়। ফলে যদি ভুল বা ডুপ্লিকেট ফর্ম আপলোড হয়ে থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট বিএলও-র কাছেও জবাবদিহি চাওয়া হবে। কোন ভিত্তিতে তিনি সেই ফর্ম ভেরিফাই করেছেন, তা জানতে চাওয়া হবে এবং প্রয়োজন হলে গোটা প্রক্রিয়াটিই খতিয়ে দেখা হবে।

সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনের বার্তা পরিষ্কার, খসড়া ভোটার তালিকা চূড়ান্ত নয়। অভিযোগ, যাচাই ও তদন্তের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই পরবর্তী ধাপে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


Share