Special Intensive Revision

এসআইআর-এর সময় বৃদ্ধি দরজা খোলা রাখল কমিশন, নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে ১২ রাজ্যের সিইও-দের বৈঠকে সিদ্ধান্ত

১৬ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটারেরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। যদি কোথাও ভুল থেকে যায়, তা জানাতে পারবেন তাঁরা। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে ইআরও-রা ভোটারদের সমস‍্যা মেটাবেন। সেই সময়টা শুরু হচ্ছে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে।

এসআইআর-এর সময় বৃদ্ধির দরজা খোলা রাখল কমিশন।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৫:০১

ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর সময় বৃদ্ধির দরজা খোলা রাখল নির্বাচন কমিশন। এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ওপর। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার-সহ পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সিইও-দের নিয়ে বৈঠক করেন। 

আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচটি রাজ্যের ভাগ‍্য নির্ধারণ হবে। সেই সব রাজ্যেও চলছে এসআইআর-এর কাজ। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের দাবি, এত কম সময়ের এই কাজ হয় না। তাই সময় নিয়েই এই কাজ করা হোক। এই বিষয়ে শুক্রবার নির্বাচন কমিশন একটি বৈঠক করে। সেই বৈঠকে এসআইআর-এর সময় বৃদ্ধি করা যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রের খবর। তাতে বলা হয়েছে, এই সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সিইও-রা নিতে পারবেন। সে বিষয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে করতে হবে। তার পরে সেই সুপারিশ নির্বাচন কমিশনকে জানাতে পারবেন।

১১ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশের আগে কী করবেন বুথ স্তরের আধিকারিকেরা (বিএলও) তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ১১ ডিসেম্বরের আগেই বিএলও-রা নিজেদের বুথে রাজনৈতিক দলের বিএলএ-২’দের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করবেন। বৈঠকের যা যা সিদ্ধান্ত হবে তাতে বিএলও-সহ  রাজনৈতিক দলের নেতারা সই করবেন। তাঁর ওয়েবসাইটও আপলোড করা হবে। ওই বুথে কাদের নাম নিয়ম অনুযায়ী বাদ যাচ্ছে তার তালিকা বুথের বাইরে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। সেই তালিকা নিয়ে আলোচনার পরেই খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। 

ইতিমধ্যেই এসআইআর-এর সময় সাত দিন করে বৃদ্ধি করেছে কমিশন। অতীতে কমিশন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, আগামী ৪ ডিসেম্বরের বদলে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম পূরণ ও আপলোড করা যাবে বলে। সমস্ত তথ্য হাতে পাওয়ার পরে ১২ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত খসড়া তালিকা তৈরির প্রস্তুতি চলবে। ১৬ ডিসেম্বর তা প্রকাশ করা হবে। প্রসঙ্গত, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের করার কথা ছিল ৯ ডিসেম্বর।

আবার ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটারেরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। যদি কোথাও ভুল থেকে যায়, তা জানাতে পারবেন তাঁরা। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে ইআরও-রা ভোটারদের সমস‍্যা মেটাবেন। সেই সময়টা শুরু হচ্ছে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে। যাবতীয় সেই কাজ শেষ করতে হবে আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। সেখান থেকে ঝাড়াই বাছাই করে যা তথ্য আসবে, তা ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি মধ‍্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে। নির্বাচন কমিশনারের সম্মতি পাওয়ার পরে ২০২৬ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। 


Share