IndiGo Meltdown

ইন্ডিগোতে টানা তিন দিনের বিপর্যয়, ৬০০-র বেশি ফ্লাইট বাতিল, দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা

টানা তিন দিন ধরে ইন্ডিগোর পরিষেবা বিপর্যস্ত। দিল্লি-চেন্নাই-সহ একাধিক বিমানবন্দরে শতাধিক উড়ান বাতিল, যাত্রীভোগান্তি চরমে। খাবার-জল স্বল্পতা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা সব মিলিয়ে ক্ষোভ উছোপ। ইন্ডিগো জানিয়েছে, স্বাভাবিক হতে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগবে।

ইন্ডিগো বিমান
নিজস্ব সংবাদদাতা, দিল্লি
  • শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৪:১০

টানা তিন দিন ধরে গুরুতর বিপর্যয়ের মুখে ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা। শুক্রবারও ৬০০-র বেশি উড়ান বাতিল হয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, রাত ১২টা পর্যন্ত সেখানে ইন্ডিগোর কোনও বিমান ওঠানামা করবে না। অন্য দিকে, পিটিআই সূত্রে খবর, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চেন্নাই বিমানবন্দর থেকেও ইন্ডিগোর কোনও ফ্লাইট উড়বে না।

বৃহস্পতিবার সারা দিনেও ইন্ডিগো মোট ৫৫০টি উড়ান বাতিল করে। রাতেই যাত্রীদের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি বলেই অভিযোগ। দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা গিয়েছে। যাত্রীদের ক্ষোভ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও পাচ্ছেন না যথেষ্ট খাবার বা বিশ্রামের ব্যবস্থা। নির্দিষ্ট গন্তব্যের বিমান কখন ছাড়বে, সে সম্পর্কেও বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনও তথ্য দেওয়া হচ্ছে না।

হায়দরাবাদ, কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই বিভিন্ন বিমানবন্দরের টার্মিনালে যাত্রীদের ব্যাগপত্রের পাহাড়। অনেকেই বাধ্য হয়ে মেঝেতেই রাত কাটাচ্ছেন। খাবার ও জল না-পেয়ে ক্ষোভে সরব যাত্রীরা বিমানসংস্থার বিরুদ্ধে স্লোগানও দিচ্ছেন। যাত্রীরদের প্রশ্ন, পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে নতুন যাত্রী নিচ্ছে কেন ইন্ডিগো?

এই বিশৃঙ্খলা সংসদেও প্রতিধ্বনিত হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারি রাজ্যসভায় বিষয়টি তোলেন। সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন এবং সঙ্কট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয়ভাবে কী করা যায়, তা বিবেচনা করা হচ্ছে। ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়েছে, পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় প্রয়োজন।


Share