Special Intensive Rivision

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের মুখে ৫৮ লক্ষের বেশি নাম নিয়ে শুরু শুনানি-ভেরিফিকেশন পর্ব, কারা ডাক পেতে পারেন এই ভেরিফিকেশন পর্বে?

নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মৃত, অন্যত্র স্থানান্তরিত, নিখোঁজ অথবা একাধিক জায়গায় নাম থাকা ভোটারের সংখ্যা ৫৮ লক্ষের অধিক। এই বিপুল সংখ্যক নাম খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুনানি পর্ব চলাকালীন এই সংখ্যায় আরও কিছুটা বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না কমিশন।

প্রতীকী চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৪:৩৯

১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ আগামীকাল প্রকাশিত হতে চলেছে খসড়া ভোটার তালিকা। তার পরেই শুরু হবে তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া, যার অংশ হিসেবে চলবে হিয়ারিং ও ভেরিফিকেশন। সমস্ত যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।

ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মৃত, অন্যত্র স্থানান্তরিত, নিখোঁজ অথবা একাধিক জায়গায় নাম থাকা ভোটারের সংখ্যা ৫৮ লক্ষের অধিক। এই বিপুল সংখ্যক নাম খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুনানি পর্ব চলাকালীন এই সংখ্যায় আরও কিছুটা বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না কমিশন।

এই পরিস্থিতিতে ভোটারদের মধ্যে বড় প্রশ্ন উঠছে, শুনানিতে কাদের ডাকা হতে পারে এবং সাধারণ ভোটার হিসেবে আপনি সেই তালিকায় পড়ছেন কি না। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, যেসব ক্ষেত্রে ভোটারের তথ্য নিয়ে সামান্যতম সন্দেহ তৈরি হবে, সেসব ক্ষেত্রেই শুনানির জন্য ডাকা হতে পারে।

বিশেষ করে যাঁদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যাচাইয়ের প্রয়োজন মনে করলে ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার শুনানিতে হাজির হতে নির্দেশ দিতে পারেন। সেই সময় কমিশনের নির্ধারিত নথির মধ্যে অন্তত একটি বৈধ নথি দেখাতে হবে। একই ভাবে, যেসব পরিবারের কোনও সদস্যের নামই পুরনো ভোটার তালিকায় নেই, সেই পরিবারগুলিকেও নাগরিকত্ব সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ের জন্য শুনানিতে ডাকা হতে পারে। আধার বাদে নির্ধারিত নথিগুলির মধ্যে যে কোনও একটি বৈধ কাগজ দেখাতে পারলেই নাম চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

এ ছাড়াও, ফর্ম ফিলআপের সময় ভুল তথ্য দিলে বা দেওয়া তথ্য কমিশনের ডাটাবেসের সঙ্গে না মিললে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হতে পারে। একইভাবে, যদি কোনও আবেদনপত্র বিএলও বা কমিশনের কাছে অস্পষ্ট বা বিভ্রান্তিকর মনে হয়, তাহলেও যাচাইয়ের জন্য ভোটারকে হাজির হতে বলা হতে পারে।

কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, শুনানির ডাক এলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। নির্ধারিত নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে হাজির হয়ে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দিতে পারলেই সমস্ত সংশয় কাটবে এবং নাম থাকবে এসআইআরের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায়। কমিশনের বক্তব্য, যেখানে সামান্য সন্দেহ তৈরি হবে সেখানেই যাচাই প্রক্রিয়া চালানো হবে, তবে সঠিক তথ্য ও বৈধ নথি থাকলে ভোটারদের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।


Share