Narkeldanga Fire

নারকেলডাঙায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত এক, সকালে প্রৌঢ়ের ঝলসানো দেহ উদ্ধার করল পুলিশ

নারকেলডাঙার বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। মৃতের নাম হাবিবুল্লা মোল্লা। তাঁর দেহ উদ্ধার হয় পুড়ে যাওয়া ঝুপড়ি থেকে।

নারকেলডাঙার বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। মৃতের নাম হাবিবুল্লা মোল্লা। তাঁর দেহ উদ্ধার হয় পুড়ে যাওয়া ঝুপড়ি থেকে।
এখন কলকাতা ডেস্ক: কলকাতা
- নিজস্ব চিত্র
  • শেষ আপডেট:০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:০০

গতকাল রাতে নারকেলডাঙার বস্তিতে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। সেই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। মৃতের নাম হাবিবুল্লা মোল্লা। আজ, রবিবার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। একটি অগ্নিদগ্ধ ঝুপড়ির ভিতর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতেহ দেহের সিংহভাগই পুড়ে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লা নারকেলডাঙার ওই ঘটনাস্থলেই একটি গোডাউনে দৈনিক মজুর হিসেবে কাজ করতেন।? 

উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১১টা নাগাদ নারকেলডাঙার বস্তিতে আচমকা আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে ওই বস্তির প্রায় ৩০টা ঝুপড়ি। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে যায় আকাশ। রাস্তার ধারে থাকা একটি পিকআপ ভ্যান এবং ট্রাকেও আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের মোট ১৬টি ইঞ্জিন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। প্রায় চার ঘণ্টা পর রাত ২টো ১০ নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। স্থানীয় মানুষেরাও উদ্ধারকাজে দমকলকর্মীদের সাহায্য করলেও এই আবহে দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁদের প্রশ্ন, ২০ মিনিটের পথ আসতে কী করে দু’ঘণ্টা দেরি করল দমকল। কী ভাবে আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি।? 

তবে তবে আগুন নিভে গেলেও আজ সকালেও এলাকা জুড়ে ধোঁয়া রয়েছে। যে ঝুপড়ি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে, সেটিকে ব্যারিকেড করে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। এ ছাড়াও বহু বস্তির বাসিন্দারা আশ্রহীন ভাবে বসে আছেন। স্থানীয়দের দাবি, নারকেলডাঙার বস্তির ২০০ ঝুপড়ির মধ্যে ৫০টি পুড়ে গিয়েছে গতরাতের অগ্নিকাণ্ডে। এই আবহে পুড়ে যাওয়া ঝুপড়ির বাসিন্দাদের প্রশ্ন, তাঁরা কোথায় যাবেন? এদিকে আগুনের কারণ সম্পর্কে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সেই বস্তিতে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার জেরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল দ্রুত।? 


Share