Leonel Messi

যুবভারতী স্টেডিয়ামে কেলেঙ্কারির ঘটনায় ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন অরূপ বিশ্বাস, পদত‍্যাগপত্র গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

গত শনিবার যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠানে অশান্তির ঘটনায় ঘটনায় রাজ‍্য পুলিশের ডিজিকে শো-কজ করেছে নবান্ন। এর পাশাপাশি বিধাননগর কমিশনারেটের সিপি মুকেশ কুমারকেও শো-কজ করা হয়েছে। বিধাননগরের ডিসি অনীশ সরকারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও, ক্রীয়া দফতরের প্রিন্সিপাল সচিবকে শো-কজ করা হয়েছে। যুবভারতীর দায়িত্বে থাকা সিইওকে সরানো হয়েছে।

অরূপ বিশ্বাসের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৬:১৯

অবশেষে পদত্যাগ করলেন বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। চাপের মুখে গতকাল অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই পদত্যাগপত্র ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছেন। যদিও দুটি দফতর তাঁর হাতেই রয়েছে। এখন থেকে ক্রীড়া দফতরের নিজেই দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

অরূপ বিশ্বাস ক্রীড়া এবং যুবকল্যাণ দফতরের পাশাপাশি বিদ‍্যুৎ এবং আবাসন দফতরের মন্ত্রীও। কিন্তু তিনি শুধুমাত্র ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের থেকেই সরছেন। দুটি দফতর এখনও তাঁর হাতেই রয়েছে। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন, তা যাতে ‘নিরপেক্ষ ভাবে‘ অনুসন্ধান করতে পারে, তাই তিনি এই দফতরের মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি চান।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা সেই ইস্তফা গ্রহণ করে ক্রীড়ামন্ত্রীর ‘আবেগ এবং উদ্দেশ্য’-এর প্রশংসাও করেন। তিনি বলেন, ‘‘তিনি (অরূপ) একেবারেই সঠিক। যত ক্ষণ না নিরপেক্ষ তদন্ত শেষ হচ্ছে, তত ক্ষণ এই দফতর আমি দেখব।’’ বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে রয়েছে সাতটি দফতর। ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ নিয়ে মোট আটটি দফতর এখন থেকে সামলাবেন।

গত শনিবার যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠানে অশান্তির ঘটনায় ঘটনায় রাজ‍্য পুলিশের ডিজিকে শো-কজ করেছে নবান্ন। এর পাশাপাশি বিধাননগর কমিশনারেটের সিপি মুকেশ কুমারকেও শো-কজ করা হয়েছে। বিধাননগরের ডিসি অনীশ সরকারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও, ক্রীয়া দফতরের প্রিন্সিপাল সচিবকে শো-কজ করা হয়েছে। যুবভারতীর দায়িত্বে থাকা সিইওকে সরানো হয়েছে।

গত শনিবার যুবভারতী স্টেডিয়ামে ফুটবলের রাজপুত্র লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে অশান্তি ছড়ায়। মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রিয় তারকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সমর্থকেরা। কারণ, নির্ধারিত সময়ের আগেই মেসি মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। যেটুকু সময় তিনি মাঠে ছিলেন, সেই সময়ও সমর্থকেরা ফুটবলের রাজপুত্রের দেখা পাননি। কারণ তাঁকে ঘিরে ছিল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী এবং তাঁদের সাগরেদরা। 

এর পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা স্টেডিয়াম। বাকেট চেয়ার ভাঙচুর করে মাঠে ছোঁড়া হয়। স্টিলের ব‍্যারিকেড ভেঙে মাঠে নেমে পড়েন সমর্থকেরা। চলে তান্ডব। এমনকি কয়েক জন পুলিশকর্মীকে ধাক্কাধাক্কি করেন। অগ্নিসংযোগ করা হয় সোফায়। তার বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে পৌঁছেছে। তা পরীক্ষা করে দেখেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।


Share