Yuva Bharati Vandalism Arrest

যুবভারতীকান্ডে গ্রেফতার আরও এক, ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছ’জন

যুবভারতী ভাঙচুরে রূপক মণ্ডল গ্রেফতার, মোট ধৃত ছ’জন। মেসির সফর ঘিরে বিশৃঙ্খলার তদন্তে সিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। টিকিট ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভে ভাঙচুরের অভিযোগ। সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত, রাজ্য পুলিশের বিশেষ দল তদন্ত চালাচ্ছে।

যুবভারতীকান্ডে ক্ষিপ্ত জনতার ভাঙচুরে গ্রেফতার ছ’জন
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৫৮

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভাঙচুরের ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। ধৃতের নাম রূপক মণ্ডল। পুলিশ সূত্রে খবর,  ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাঁকে শনাক্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রূপকের বাড়ি ইএম বাইপাস সংলগ্ন চিংড়িঘাটা এলাকায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করা হল।

অন্য দিকে, ঘটনার তদন্তে গঠিত রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) বুধবার সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তদন্তকারী দলে থাকা চার জন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক স্টেডিয়ামের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।

ফুটবল তারকা লিয়োনেল মেসির কলকাতা সফর ঘিরেই উত্তেজনা ছড়ায়। গত শনিবার যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, চড়া দামে টিকিট কেটেও অনেক দর্শক মেসিকে ঠিকমতো দেখতে পাননি। মেসি, সুয়ারেজ ও ডি’পল প্রায় ২০ মিনিট মাঠে ছিলেন। সেই সময় তাঁদের ঘিরে মাঠের ধারে জটলা তৈরি হয়, যেখানে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও উপস্থিত ছিলেন। ওই জটলার কারণে গ্যালারি থেকে দর্শকেরা প্রায় কেউই মেসিকে দেখতে পাননি। এর পর মেসিরা স্টেডিয়াম ছাড়তেই ক্ষুব্ধ দর্শকদের রোষ নেমে আসে।

অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে গ্যালারিতে হোর্ডিং ছেঁড়া, বোতল ছোড়া শুরু হয়। গ্যালারির চেয়ার ভাঙচুরের পাশাপাশি মাঠের ফেন্সিং ভেঙে চার দিক থেকে ক্ষুব্ধ জনতা মাঠে ঢুকে পড়ে। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে বিধাননগর পুলিশ।

তদন্তে নেমে সোমবার পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা হলেন বাসুদেব দাস, সঞ্জয় দাস, অভিজিৎ দাস, গৌরব বসু ও শুভ্রপ্রতিম দে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রত্যেককেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার গ্রেফতার হন আরও এক জন। পাশাপাশি, সল্টলেক স্টেডিয়ামে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক শতদ্রু দত্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

যুবভারতীকাণ্ডের তদন্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিটি সোমবার রাতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেয়। রিপোর্টে সিট গঠনের সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশ মেনেই মঙ্গলবার চার সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে রাজ্য পুলিশ।

বুধবার সকাল ন'টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সিট যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে। পরবর্তী পর্যায়ে তারা স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অফিসে যায়।


Share