Bypass Murder

বাইপাসে ছুরিবিদ্ধ তরুণীর মৃত্যু হল হাসপাতালে, ‘বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন’ বলছে পুলিশ

বৃহস্পতিবার রাতে বাইপাসের ধারে একটি চায়ের দোকানের সামনে তরুণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। পরে এনআরএস হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার দুই। ওই তরুণীর সঙ্গী পলাতক।

বাইপাসের ধারে এক তরুণীকে একটি চায়ের দোকানে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছিল।
এখন কলকাতা ডেস্ক, কলকাতা
-প্রতীকী ছবি।
  • শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০০

বৃহস্পতিবার রাতে বাইপাসের ধারে ছুরির আঘাতে জখম হয়ে তরুণীর মৃত্যু হল এনআরএস হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, তরুণীর শরীরে একাধিক ছুরির কোপ বসানো হয়েছিল। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত নাবালককেও আটক করা হয়েছে। মহিলার স্বামী তথা মৃত তরুণীর সঙ্গীর খোঁজ মেলেনি।? 

পুলিশ জানিয়েছে, মূলত ওই তরুণীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তার প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা। জানা গিয়েছে, মহম্মদ ফারুক আনসারির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রফিয়া সাকিল শেখ। তাঁরা দু’জন বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ বাইপাসের ধারে গাড়ি চেপে একটি চায়ের দোকানে চা খেতে বসেছিলেন। সেই সময়ে আচমকা তাঁদের উপর চড়াও হন তিন জন। পুলিশ জানিয়েছে, ফারুকের স্ত্রী শাহজাদি ফারুক এবং তাঁদের ১৬ বছরের পুত্র ছাড়াও ছিলেন ওয়াসিম আক্রম নামের এক যুবক ওই তরুণীর ওপর আক্রমণ করে। ওয়াসিম নাবালকের তুতো ভাই। তাঁদের দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ফারুক।? 

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওয়াসিম ওই তরুণীকে পালাতে বাধা দেন। মূল আক্রমণ করে নাবালক। নাবালকের মা-ও সঙ্গে ছিলেন। তরুণী সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ধরে ফেলেন অভিযুক্তেরা। রফিয়াকে ছুরি দিয়ে একাধিক বার কোপানো হয় বলে অভিযোগ। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং তিন জনকে আটক করে নিয়ে যায়।? 

গুরুতর জখম অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করে রাতে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাতেই তাঁর অবস্থা অবনতি হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ফারুকের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর ফোন বন্ধ। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিশ।? 

জানা গিয়েছে, ফারুক গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। বৃহস্পতিবার রাতে রফিয়াকে নিয়ে একটি গাড়ি করে বাইপাসে গিয়েছিলেন তিনি। ফারুকের ফোনের জিপিএস লোকেশন দেখে তাঁর স্ত্রী, পুত্র অন্য একটি গাড়িতে তাঁকে অনুসরণ করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান অভিযুক্তেরা। ঘটনার সময়ে সেই গাড়ির চালক পালিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সেই গাড়ি চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের কাছ থেকে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।? 


Share