RG Kar Case

আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের মামলা থেকে সরে গেল সুপ্রিম কোর্ট, এখন থেকে সব মামলার শুনানি হবে হাই কোর্টেই

বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ আরজি কর মামলার সমস্ত কাগজপত্র কলকাতা হাই কোর্টে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে নির্যাতিতার বাবা-মাকে এই মামলার স্টেটাস রিপোর্টের একটি প্রতিলিপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

আর জি কর মেডিকেলের মামলা হাই কোর্টে ফিরে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৩:৩৯

আরজি কর মেডিকেলে ধর্ষণ এবং খুনের মামলা থেকে সরে গেল সুপ্রিম কোর্ট। চিকিৎসক-ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং খুন সংক্রান্ত মামলা তাঁরা হাই কোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। বুধবার শীর্ষ আদালতে শুনানিতে জানানো হয়েছে, এ বার থেকে এই সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাই কোর্টেই।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ আরজি  কর মামলার সমস্ত কাগজপত্র কলকাতা হাই কোর্টে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে নির্যাতিতার বাবা-মাকে এই মামলার স্টেটাস রিপোর্টের একটি প্রতিলিপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

গত ২০২৪ সালের ৯ অগস্ট আরজি করে চিকিৎসক-ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পরের দিনই কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তবে আরজি কর কাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে প্রাথমিক ভাবে দোষী সাব্যস্ত করার পরেও শীর্ষ আদালত একাধিক আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে নির্দেশ দিয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণ ছিল, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের হাসপাতালে অনুপস্থিতির মতো ঘটনাও। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলা করার পরে গত বছরের ২০ আগস্ট জাতীয় টাস্ক ফোর্স (এনটিএফ) গঠনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রোটোকল তৈরির জন্য ওই উদ্যোগ।

ঘটনাক্রমে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা করে শিয়ালদহ আদালত। তাতে দোষী সাব্যস্ত হন সঞ্জয়। ২০ জানুয়ারি তাঁর আজীবন কারাবাসের নির্দেশ দেন বিচারক অনির্বাণ দাস। কিন্তু শিয়ালদহ আদালত রায় দেওয়ার আগে হাই কোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। সিবিআই তদন্ত নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে উচ্চ আদালতের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে সেই আবেদন করা হয়। যদিও বিচারপতি ঘোষ সেই সময় নির্যাতিতার পরিবারের ওই আবেদন শুনতে চাননি। কারণ, তখন সুপ্রিম কোর্টেও আরজি কর মামলা চলছিল। এর পরে শীর্ষ আদালতেও একই আবেদন করেন নির্যাতিতার মা-বাবা। তা নিয়ে শুনানিও হয়। কিন্তু একই আবেদন নিয়ে কেন সুপ্রিম কোর্টেও শুনানি হবে? প্রশ্ন তোলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। তাঁর বক্তব্য ছিল, একই আবেদনের প্রেক্ষিতে দু’টি আদালতে শুনানি চলতে পারে না। হয় উচ্চ আদালত শুনবে, নয় তো শীর্ষ আদালত।


Share