Saraswati Puja

যোগেশচন্দ্র কলেজে সরস্বতী পুজো হবে পুলিশের নিরাপত্তায়, নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট

যোগেশচন্দ্র কলেজে সরস্বতী পুজো হবে পুলিশি নিরাপত্তায়। শুক্রবার এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বহিরাগতের তৈরি করা অস্থায়ী নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে উচ্চ আদালত। চারুমার্কেট থানার এই নির্মাণ সরানোর ব্যবস্থা করবে।

গ্রাফিক্স: এখন কলকাতা।
এখন কলকাতা ডেস্ক, কলকাতা
- নিজস্ব চিত্র
  • শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০০

যোগেশচন্দ্র আইন কলেজে পুলিশ মোতায়েন করে হবে সরস্বতী পুজো। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতির জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, লালবাজারের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ)-এর নজরদারিতে যোগেশচন্দ্র ডে এবং আইন কলেজের সরস্বতী পুজো হবে করতে হবে। এ দিন উচ্চ আদালত জানিয়েছে, বহিরাগতেরা যাতে কলেজে প্রবেশ করতে না পারে, তা সুনিশ্চিত করবে কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি, যেখানে বহিরাগতেরা অস্থায়ী নির্মাণ বানিয়েছে, তা ভেঙে দেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।? 

যোগেশচন্দ্র আইন কলেজের এক পড়ুয়া তাঁদের কলেজ চত্বরে সরস্বতী পুজো করতে চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মামলাকারী অভিযোগ, যে জায়গায় তাঁরা পুজো করে এসেছেন, তা দখল করেছে ডে কলেজ। যদিও আদালতে ডে কলেজের তরফে দাবি করা হয়, পুজোর জায়গায় একটি অস্থায়ী নির্মাণ তৈরি করেছেন বহিরাগতেরা। শুক্রবার সেই অস্থায়ী নির্মাণ সরিয়ে দেওয়ার জন্যও চারু মার্কেট থানাকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ওই নির্মাণ ভেঙে দিতে হবে। তা ভাঙার সময় ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।? 

যোগেশচন্দ্র আইন কলেজ এবং যোগশচন্দ্র ডে কলেজের একই ক্যাম্পাসে ক্লাস হয়। এই বহিরাগতদের কলেজে প্রবেশের উপর আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সম্প্রতি কলেজে এই বহিরাগতদের ‘উপদ্রব’ আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বার পুলিশ মোতায়েন করে সরস্বতী পুজোর কথা জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পাশাপাশি এ দিন কলেজে কারা প্রবেশ করছেন, কারা বার হচ্ছেন, তার উপরও নজর দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। বিচারপতি সেনগুপ্ত জানালেন, বহিরাগতেরা যাতে কলেজে প্রবেশ করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে কলকাতা পুলিশকেই। পাশাপাশি, এ দিন কলেজ চত্বরে বহিরাগতদের তৈরি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হল।? 

গতকাল সেখানে সরস্বতীপুজোর প্রস্তুতিতে বাধা, এমনকি ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সাব্বির আলি এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা স্থানীয় থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘এই কলেজে অশান্তি থামেই না। আদালতের নির্দেশে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। গত ডিসেম্বরে কলেজে ঢুকতে গিয়ে আমি হেনস্থার মুখে পড়েছিলাম। এর পর থেকে শুধু কয়েকটি বৈঠকে যোগ দিতে যাই। সেখানেও বাধা আসে। এ বার তো পড়ুয়ারা থানায় গিয়ে ওই টিএমসিপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন।’’? 

যদিও অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতা তথা এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সাব্বির আলি বলেন, ‘‘আমি এই কলেজের ছাত্র ছিলাম। গত ১৭-১৮ বছর ধরে সরস্বতীপুজোয় উপোস করে অঞ্জলি দিই। আমি এগুলো কী করে করব? বরং জানিয়েছিলাম, পুজোয় সহযোগিতা করব।’’? 


Share